
একটা সময় তারা ছিল চির প্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগানের স্পন্সর। আর এবার কি সেই ম্যাকডয়েল হতে চলেছে ইস্টবেঙ্গলের স্পন্সর? ময়দানে এ নিয়ে জোর গুঞ্জন। এ মরসুমে আইএসএল হওয়া নিয়ে নাটক এখনও অব্যহত। এর মধ্যেই নতুন স্পন্সর নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। তবে সূত্রের খবর, এখনও এ ব্যাপারে কিছুই কথাবার্তা হয়নি।
শোনা যাচ্ছিল কেভেন্টারসের নামও। সে ক্ষেত্রেও কোনও নিশ্চয়তা এখনই দেওয়া যাচ্ছে না। প্রসঙ্গত, এই দুই কোম্পানির সঙ্গেই দারুণ সম্পর্ক রয়েছে লাল-হলুদ ক্লাবের। তবে ভারতীয় ফুটবলের যা অবস্থা তাতে নতুন করে কোনও স্পন্সর পাওয়া খুব সহজ হবে না তা বলাই যায়। গত মরসুমে ইমামি ইনভেস্টর থাকলেও, স্পন্সর ছাড়াই খেলেছিল ইস্টবেঙ্গল। পড়শি মোহনবাগানের জার্সিতে তখন নতুন কোনও লোগো রাখার জায়গাই নেই।
তবে এবার সেই সমস্যা কাটে কিনা সেটাই দেখার। বিশেষ করে নতুন ভাবে আইএসএল চালু হওয়ার পর কী হবে সেটাই এখন দেখার। শোনা যাচ্ছে, ক্লাব জোটই এবারের আইএসএল আয়োজন করবে। ভারতের ফুটবল ফেডারেশনই এই প্রস্তাব দিয়েছে ক্লাব জোটকে। আর সেটাই আশার আলো দেখাচ্ছে ভারতীয় ফুটবলকে। এর মধ্যেই ম্যাকডোয়েল হোক বা কেভান্টার, ইস্টবেঙ্গল যদি ইনভেস্টরের পাশাপাশি স্পন্সর পেয়ে যায়, তা নিঃসন্দেহে ভারতীয় ফুটবলের জন্য নিশ্চিতভাবে দারুণ খবর।
আর এর মধ্যেই সেই স্পন্সর যদি হয় ম্যাকডোয়েল তবে তো কথাই নেই। মোহনবাগানের প্রাক্তন স্পন্সর ইস্টবেঙ্গলে এলে দল বদলের মতোই ব্যাপার হবে। এর আগে ময়দান দল বদল নিয়ে সরগরম থাকলেও, স্পন্সরের ক্লাব বদলের কোন নজির আছে কিনা তা বলতে পারছেন না ময়দানের প্রবীন ফুটবলপ্রেমীরা।
এই ডিল ফাইনাল এখনও হয়নি। একটা সময় বিজয় মালিয়ার ইউবি গ্রুপ দুই দলকেই স্পন্সর করত। যদিও আইএসএল আসার অনেক আগেই ম্যাকডয়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। তবে এবার তারা ইস্টবেঙ্গলের স্পন্সর হয়ে ময়দানে ফিরলে তা হবে বিরাট ব্যাপার।