নির্বাচনের আগেই মোহনবাগান অ্যাথলেটিক ক্লাবের (Mohun Bagan Club) সভাপতি পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেন টুটু বসু। ৯০-এর দশক থেকে মোহনবাগানের সঙ্গে জড়িত টুটু বসুর আচমকা সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত অবাক করেছে সদস্যদের। সোমবার দুপুরে একটি চিঠি দিয়ে তিনি সরে দাঁড়ানোর কথা জানান।
এবারের নির্বাচন একেবারেই আলাদা
মোহনবাগানের নির্বাচন এর আগেও বহুবার হয়েছে। তবে এমন নজিরবিহীন ঘটনা দেখা যায়নি। বসু পরিবার এবারের নির্বাচনের আগে কার্যত দুই ভাগে বিভক্ত। একদিকে যেখানে বিরোধী শিবিরের মুখ সৃঞ্জয় বসু। সেই সময়ে দেবাশিস দত্তর শাসক শিবিরে রয়েছেন সৃঞ্জয় বসুর ভাই সৌমিক বসু। তিনি মোহনবাগান ক্লাবের বর্তমান কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট। একটি অনুষ্ঠানে সৌমিক বসু দেবাশিস দত্তর হয়ে প্রচার করেন। এই পরিস্থিতিতে টুটু বসুর অবস্থান কী হয় সেই দিকে নজর সকলের।
যুযুধান সৃঞ্জয় ও দেবাশিস
শুধু তাই নয়, এতদিন নির্বাচনে একসঙ্গে লড়তে দেখা গিয়েছে সৃঞ্জয় ও দেবাশিসকে। যে সময় অঞ্জন মিত্র ও টুটু বসু গোষ্ঠী পরস্পরের বিরুদ্ধে নির্বাচনের ময়দানে যুযুধান প্রতিপক্ষ, সেই সময়ও একসঙ্গে ছিলেন সৃঞ্জয় ও দেবাশিস। টুটু বসুর পাশে দাঁড়িয়ে নির্বাচনী সভা করেছেন, জিতিয়েছেনও। আর এবার তাঁরাই এঁকে অপরের প্রতিপক্ষ।
কী লিখলেন টুটু বসু?
টুটু বসু এদিন তাঁর চিঠিতে লেখেন, ‘ক্লাবের নির্বাচন যেহেতু দোরগোড়ায়, তাই সদস্যদের উদ্দেশে আমারও কিছু বলা দরকার। কারণ, কোন কমিটি আসবে, তাতে থাকবেন কারা, তা ঠিক করবেন সদস্যরা। কিন্তু সভাপতির চেয়ারে বসে থেকে সেই কাজ আমার পক্ষে করা সম্ভব নয়। আসলে সভাপতির চেয়ার থেকে কোনও এক পক্ষের প্রচার করা উচিত নয়। চেয়ার কিংবা পদের অপব্যবহার করে কখনও কিছু আমি করিনি, এবারও করব না। তাই ঠিক করেছি, মোহনবাগান ক্লাবের সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেব আমি। আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ, দয়া করে এই ইস্তফাপত্র গ্রহণ করবেন।’