এএফসি কাপে ঘরের মাঠে ওড়িশা এফসি-র কাছে হারল মোহনাবাগান সুপার জায়ান্টস। ৫-২ গোলে হারতে হয়েছে সবুজ মেরুন শিবিরকে। ম্যাচের প্রথমার্ধে ১ গোলে এগিয়ে যায় মোহনবাগান। গোল করেন হুগো বউমাস। কিন্তু রয় কৃষ্ণ, দিয়েগো মৌরিসিও এবং সাই গডার্ডের তিনটি দ্রুত গোল এগিয়ে দেয় ওড়িশাকে। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে কিয়ান নাসিরি সবুজ মেরুনের গোল ঘাটতি কমিয়ে আনেন। যদিও অতিরিক্ত সময়ে ওড়িশার হয়ে আরও দুটো গোল করেন অনিকেত যাদব এবং ইসাক জয় নিশ্চিত করেন।
কী বললেন জুয়ান ফেরান্দো
ওড়িশার কাছে হারের পর মোহনবাগান এসজির প্রধান কোচ জুয়ান ফেরান্দো হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। তিনি বলেন, 'আমাদের কিছু সমস্যা ছিল, কিছু খেলোয়াড় ১০০ শতাংশ ফিট ছিল না এবং অন্য কেউ চোটের কারণে খেলতে পারছিল না। এটি ফুটবলের একটি অংশ। শেষ দুটি গোল এসেছে ৯২ ও ৯৪ মিনিটে। কারণ আমরা আক্রমণে সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়েছিলাম এবং এটা স্বাভাবিক। আমরা কমপক্ষে ৩-৩ করতে চেয়েছিলাম। আমরা কেবল আমাদের আক্রমণের কথা ভাবছিলাম। কারণ সেই সময়ে খেলাটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
তাহলে কি আশা শেষ মোহনবাগানের
এএফসি কাপের দক্ষিণ এশীয় গ্রুপ পর্বে ৫ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে বসুন্ধরা। মোহনবাগানকে হারিয়ে ৫ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ওড়িশা। ৫ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে রয়েছে মোহনবাগান। গ্রুপের শেষ রাউন্ডে বসুন্ধরা খেলবে ওড়িশার বিরুদ্ধে। মোহনবাগান খেলবে মাজিয়ার বিরুদ্ধে। হিসেব নিকেশ বলছে পরের ম্যাচে জিতলেও পরের রাউন্ডে যাওয়ার আর কোনও সম্ভাবনা নেই মোহনবাগানের। ওড়িশা এফসি ও বসুন্ধরা কিংস ম্যাচে যে দল জিতবে তারাই পরের রাউন্ডে যাবে। এএফসি কাপের দক্ষিণ এশীয় গ্রুপ পর্বে গ্রুপের শীর্ষ দল আন্তঃআঞ্চলিক সেমিফাইনালের যোগ্যতা অর্জন করে। মোহনবাগান গতবার সেমিফাইনালে পৌঁছেছিল। এবার তাদের দৌড় শেষ হয়ে গেল গ্রুপ পর্বেই।