দল একটা সময় ১ গোলে পিছিয়ে ছিল। আইএসএল ফাইনালের মঞ্চে সেখান থেকে ফিরে আসা একেবারেই সহজ ছিল না। তবে সেই কাজটাই করে দেখিয়েছে মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। কোন মন্ত্রে ঘুরে দাঁড়ালো সবুজ-মেরুন? ম্যাচ জিতে রেকর্ড গড়ে এ ব্যাপারেই মুখ খুললেন মোহনবাগান কোচ হোসে মলিনা।
এদিন পিছিয়ে পড়ার পর ফুটবলারদের কী বার্তা দিয়েছিলেন? মোলিনার মতে, 'আমি ফুটবলারদের সবসময় বলি, আগে যা হয়ে গিয়েছে, সেটা ভুলে সামনের দিকে তাকাতে। আমি একটা সিস্টেম অনুসরণ করি। ডুরান্ডের পর বলেছিলাম, আমি ঠিক পথেই এগোচ্ছি। ধৈর্য ধরুন। সেটাই হয়েছে।' যোগ করেন, 'পিছিয়ে পড়েও ফুটবলারদের বলেছিলাম, নিজেদের স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে। জয় আসবেই। ফুটবলাররা নির্দেশ মতো খেলায় সাফল্য।'
ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার মুহূর্তে নিজের উচ্ছ্বাস ধরে রাখেননি মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের সফলতম কোচ হোসে মোলিনা। লিগ শিল্ড জয়ের পর আইএসএল কাপ জিতে নজির গড়লেন তিনি। স্বাভাবিকভাবে 'ডাবল' অর্জনের আনন্দে সাময়িক আত্মহারা ছিলেন বাগানের স্প্যানিশ কোচ। চ্যাম্পিয়ন ফুটবলারদের সঙ্গে যুবভারতীর বিজয়োল্লাসে শামিল হওয়ার পর প্রচারমাধ্যমের সামনে এসে সম্পূর্ণ অন্য মেজাজে ধরা দিলেন মোলিনা। শান্ত, সংযত।
এটিকে কোচের ভূমিকায় প্রথমবার ভারতে পা দিয়েই আইএসএল কাপ জিতেছিলেন। চলতি মরসুমে 'ডাবল' জয়। এমন ঈর্ষণীয় সাফল্যের পর আগামী মরসুমে মোলিনার ওপর প্রত্যাশার চাপ বাড়বে। সেই প্রত্যাশা মেটানো কতটা সম্ভব? মোলিনার উত্তর, 'আমার কাছে সব সাফল্যই সমান। তুলনায় যেতে পছন্দ করি না। আগামী দিনেও এই মনোভাব নিয়ে চলব। এই সাফল্যে শুধু আমার অবদান নেই। দলের ফুটবলার, টিম ম্যানেজমেন্ট, সমর্থক সকলের সমান ভূমিকা আছে। শিল্ড জয়ের দিনে বলেছিলাম, এর পুনরাবৃত্তি পরের মরসুমে করা বেশ কঠিন হবে। ডাবল অর্জনের পরও একই কথা বলছি। আশা করছি, পরের মরসুমে আমি কোচ থাকব। টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে এই নিয়ে দ্রুত আলোচনায় বসব।'
রেফারিং নিয়ে ম্যাচের পর ক্ষোভ উগড়ে দেন বেঙ্গালুরুর কোচ জেরার্ড জারাগোজা। তাঁর অভিযোগ, মোহনবাগান রেফারির সিদ্ধান্তের সুবিধা পেয়েছে। এই নিয়ে মোলিনার পাল্টা, 'আমি হারলেও কোনও অজুহাত দিই না। রেফারির সিদ্ধান্ত আমাদের বিরুদ্ধে গেলেও কোনও অভিযোগ করিনি। ভবিষ্যতেও করব না।'