পঞ্জাব এফসি (Punjab FC) ম্যাচে বড় ব্যবধানে জিতে লিগ শিল্ডের (ISL League Shield) আরও কাছে মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট (Mohun Bagan Super Giant)। তবে ফুটবলারদের চোট যে চিন্তায় রাখছে তা অস্বীকার করার উপায় নেই। প্লে অফ নিশ্চিত হয়ে গেলেও জামশেদপুর এফসি যদি পরপর ম্যাচ জিততে থাকে তখনই চাপ বাড়বে সবুজ-মেরুন ফুটবলারদের উপর। বুধবারের ম্যাচে হ্যামস্ট্রিং-এ চোট পান সাহাল আব্দুল সামাদ।
সাহাল আব্দুল সামাদের চোট
ম্যাচের ৩৮ মিনিটে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন মোহনবাগানের গুরুত্বপূর্ণ এই ফুটবলার। তবে তিনি না থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধেই আসে সব গোল। শোনা যাচ্ছে, হ্যামস্ট্রিং পেশিতে নাকি চোট লেগেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই চোটের কারণে কয়েক সপ্তাহ তাঁকে মাঠের বাইরে থাকতে হবে। যেহেতু চোটের কারণে আপাতত অনিরুদ্ধ থাপাকে পাচ্ছেন না হোসে মলিনা। সেকারণেই সাহালের চোট আরও চিন্তা বাড়াচ্ছে। তাঁর পরিবর্তে মাঠে নেমেছেন অভিষেক সূর্যবংশী।
দ্বিতীয়ার্ধে তিন গোল
ম্যাচে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে গোল তুলে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল পঞ্জাব। প্রথমার্ধে তা বেশ সফল হলেও, পাঁচ ডিফেন্ডার, তিন ব্লকারকে দিয়েও মোহনবাগানের বিজয়রথ শেষ অবধি আটকাতে পারেনি পঞ্জাব। দ্বিতীয়ার্ধে ৩ গোল করে জয় নিশ্চিত করে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। ম্যাচের ৫৬ মিনিটে জেমি ম্যাকলরেনের গোলই পার্থক্য গড়ে দেয়। তারপর লিস্টন কোলাসোর গোল মূলত পঞ্জাবের গোলকিপার রবি কুমারের ভুলেই। তিনি আপাত নিরীহ শটও সেভ করতে ব্যর্থ হন। পঞ্জাবের কফিনে শেষ পেরেকটা পুঁতে দেন ম্যাকলরেনই। সেটা আবার ৯০ মিনিটের মাথায়।
লিগ শিল্ড জিততে কত পয়েন্ট দরকার?
এই ম্যাচে মাত্র একটা অনটার্গেট শট করতে পেরেছে পঞ্জাব। দিপেন্দু বিশ্বাসকে সঙ্গে করে আলবার্তো রড্রিগেজের ডিফেন্স দাঁত ফোটাতে ডীনই লুকা মাজসেনদের। মোহনবাগান এই জয়ের ফলে ২০ ম্যাচে ৪৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে। ১৮ ম্যাচে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে জামশেদপুর এফসি। পরপর দুই ম্যাচ জিতলেও খালিদ জামিলের দল পৌঁছে যাবে ৪০ পয়েন্টে। সেক্ষেত্রে মোহনবাগানের সঙ্গে তখনও ৬ পয়েন্টের ব্যবধান থাকবে তাদের। অর্থাৎ অঙ্ক অনেকটাই পরিস্কার। লিগ শিল্ড জিততে হলে জামশেদপুরকে সব ম্যাচ জিততে হবে। আর আশা করতে হবে দুই ম্যাচ যেন মোহনবাগান হারে। আর শুভাশিস বসুদের সব ম্যাচ জিততে হবে এই ব্যবধান বজায় রেখে লিগ শিল্ড জিততে হলে।