গোটা মরসুম জুড়ে জুটেছে নানা মন্তব্য। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দিমিত্রি পেত্রাতোসের গোল করে দুই ম্যাচ আগেই লিগ শিল্ড ঘরে তুলে ফেলল মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। আর সেই কামব্যাকের পরে সঞ্জীব গোয়েঙ্কার থেকে ‘জাদু কি ঝাপ্পি’ পেলেন দিমি। পুরো দল তাঁকে শূন্য ভাসিয়ে উদযাপন করতে থাকে। ভালোবাসায় ভরিয়ে দেন সমর্থকরাও। আর একসঙ্গে এসব কিছু পেয়ে চোখে জল অজি তারকার।
মরসুমের চতুর্থ গোলটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ
আজকের ম্যাচের আগে পর্যন্ত মাত্র তিনটি গোল করেছিলেন। আর সেখান থেকে ২০২৪-২৫ সালের আইএসএলে মোহনবাগানের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ গোলটা করলেন তিনিই। কেমন লাগছে জানতে চাওয়াতে দর্শকদের দেখিয়ে শুধু বলে গেলেন, 'কেমন লাগতে পারে? অসাধারণ। ব্যাক টু ব্যাক...'
ম্যাচের সেরা হয়ে দিমি বলেন...
রবিবার ম্যাচের সেরা পুরস্কার নিতে এসে দিমি বলেন, ‘আমরা জার্সির জন্য খেলি। আমরা সব সমর্থকদের জন্য খেলি। যাঁরা শুধু আজ এসেছেন, তাঁরা নন। পুরো মরসুমে যাঁরা আমাদের সমর্থন করেছেন, তাঁদের জন্য খেলি আমরা। এটা আমাদের মাঠ।’ যে দিমি ৭৭ মিনিটে মাঠে নেমে গোল লক্ষ্য করে ছ'টি শট নেন। তার মধ্যে তিনটি শট ছিল তেকাঠিতে। আর যে শটটা জালে জড়িয়ে দেয়, তা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের কোটি-কোটি মোহনবাগান সমর্থককে উচ্ছ্বাসে ভাসিয়ে দিয়েছে।
৯৩ মিনিটে দিমি গোলটা করার পর থেকেই প্রতিটি মাইক্রো সেকেন্ডে শেষ বাঁশি বাজার জন্য অপেক্ষা করছিলেন তাঁরা। আর শেষ বাঁশিটা যখন বাজে, তখন তাঁরা বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন। আনন্দে মাঠের মধ্যে লাফাতে থাকেন। সবাই মিলে সেলিব্রেট করতে থাকেন। যে হেড কোচ জোসে মোলিনাকে বরাবর শান্ত, চুপচাপ দেখা যায়, তিনিও বাচ্চাদের মতো উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে শুরু করে দেন।
ম্যাচ শেষ হওয়ার পরেই, ‘চ্যাম্পিয়ন ২০২৪-২৫’ লেখা জার্সি পরে ফেলেন মোহনবাগানের খেলোয়াড়, সাপোর্ট স্টাফরা। জার্সিটা আগে থেকেই রাখা ছিল। দিমির গোলটার পরেই বের করে নিয়ে আসা হয়। ততক্ষণে আবার আইএসএল শিল্ডের একটা প্রতিকৃতিও চলে আসে খেলোয়াড়দের কাছে। সম্ভবত শোলার তৈরি সেই শিল্ড দিয়ে তুমুল উচ্ছ্বাসে ভেসে যান।