চারটে দাবিই মেনে নেওয়ায় ডুরান্ড কাপে (Durand Cup 2025) খেলবে মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট (Mohun Bagan Super Giant)। তবে এবার নতুন দাবি সামনে আনল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। মোহনবাগান সুপার জায়েন্টের দাবি, ডুরান্ড কাপে বিদেশি ফুটবলার রাখা চলবে না। এ নিয়ে শুক্রবার ফেডারেশনকে চিঠি দিল তারা। ভারতীয় ফুটবল দলের খারাপ পারফরম্যান্স নিয়েই এই দাবি বলে জানা যাচ্ছে।
মোহনবাগানকে এত দিন অনুশীলন করতে হচ্ছিল রাজারহাটে সেন্টার অফ এক্সেলেন্সের মাঠে। এটা স্বাভাবিক ঘাসের মাঠ নয়। এখানে অ্যাস্ট্রোটার্ফ পাতা রয়েছে। মোহনবাগান গত বেশ কয়েক দিন ধরে সেনার কাছে আবেদন করছিল, তাদের যুবভারতীতে ঘাসের মাঠে অনুশীলন করতে দেওয়া হোক। সেই দাবি মেনেছে সেনা।
ডুরান্ডে মোহনবাগানের যোগ দেওয়া নিয়ে সংশয় ছিল। তবে খেলার আগে সেনার কাছে মাঠ-সহ মোট চার দফা শর্ত পাঠিয়েছিল মোহনবাগান। মাঠ ছাড়া বাকি তিনটি দাবিও মেনে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মোহনবাগান ডুরান্ডের সূচিতে বদল চেয়েছিল। সবুজ-মেরুনের দাবি, সেটা মেনেই চূড়ান্ত সূচি তৈরি করা হয়েছে।
বাগানের তৃতীয় দাবি ছিল টিকিট সংক্রান্ত। গত কয়েক বছর ধরেই ডুরান্ডের টিকিট পাওয়া নিয়ে মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে ঝামেলা বেঁধেছে ডুরান্ড কর্তৃপক্ষের। অভিযোগ, কোনও বারই পর্যাপ্ত টিকিট পাওয়া যায় না। এমনকি কমপ্লিমেন্টারি টিকিটও নাকি টাকা দিয়ে কিনতে হয় দুই প্রধানকে। সদস্যেরা খেলা দেখা থেকে বঞ্চিত হন। মোহনবাগান জানিয়েছে, এ বার এই সমস্যা হবে না। টিকিট সংক্রান্ত তাদের দাবি মেনে নিয়েছে সেনা। ফলে সদস্যদের টিকিট পেতে সমস্যা হবে না। বাগানের শেষ দাবি ছিল প্রশাসনিক। সেটাও সেনার তরফে মেনে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
কলকাতা লিগের জন্য দুই প্রধানের রিজ়ার্ভ দল প্রথমে অনুশীলন করছিল যুবভারতীর ট্রেনিং গ্রাউন্ডে। কারণ, তাদের নিজেদের মাঠ এখন তৈরি নয়। বর্ষার জন্য মাঠ সংস্কারের কাজ বন্ধ রয়েছে। কিন্তু এই মাসের শুরুতে আচমকাই দুই প্রধানকে যুবভারতী থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। সেনাবাহিনী জানায়, যুবভারতীর মাঠ এখন ডুরান্ডের দখলে। সেখানে অনুশীলন করা যাবে না। বাধ্য হয়ে ইস্টবেঙ্গল প্র্যাক্টিসের জন্য হাওড়া স্টেডিয়ামে চলে গিয়েছে। মোহনবাগান গিয়েছিল রাজারহাটে। অবশেষে সবুজ-মেরুনের মাঠ সমস্যা মিটল।