ঘরের ছেলের সঙ্গে চুক্তি সেরে ফেলল মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। নিজেদের যুব দলের এক ফুটবলারের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোহনবাগান ম্যানেজমেন্ট। রাজদীপ পাল রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের ম্যাচে গোলের পর গোল করে চলেছে সে। বাঙালি স্ট্রাইকার পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। তাই তাঁকে সই করিয়ে ফেলল সবুজ-মেরুন।
গত কয়েক দিন ধরেই খবরের শিরোনামে রাজদীপ। রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন ডেভেলপমেন্ট লিগের অনুধু ১৫ প্রতিযোগিতায় ১৩ ম্যাচে ২৪. গোল করে প্রথম নজরে পড়ে সে। এআইএফএফের জুনিয়র লিগে (অনুর্ধ ১৫) এখনও পর্যন্ত দুটি ম্যাচ খেলেছে বাগান। প্রথম ম্যাচেই ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক রাজদীপের। মঙ্গলবার দ্বিতীয় ম্যাচে মহমেডানকে ৫-০ হারায় সবুজ-মেরুন। সেখানে হ্যাট্রিক-সহ চার গোল করে রাজদীপ। অর্থাৎ, চলতি মরশুমে তার নামের পাশে ১৫ ম্যাচে ৩১ গোল সঙ্গে আবার ১৪ অ্যাসিস্ট। এমন প্রতিভাকে তারকা বানাতে মরিয়া মোহনবাগান।
ভবিষ্যতের কথা ভেবে দীপেন্দু বিশ্বাসের মতো রাজদীপকেও স্পটলাইট থেকে দূরে রাখতে সচেষ্ট বাগান ম্যানেজমেন্ট। সূত্রের খবর, হালিশহরের রাজদীপের সঙ্গে পাঁচ থেকে আট বছরের চুক্তি হতে চলেছে। বাবা দিনমজুর। মা অন্যের বাড়িতে কাজ করেন। অর্থকষ্টে রাজদীপকে যাতে খেলা ছাড়তে না হয়, সেই জন্যই লম্বা চুক্তির ভাবনা। ২৩ ফেব্রুয়ারি আইএসএলে ঘরের মাঠে ওড়িশা এফসি-র সঙ্গে খেলবেন জেসন কামিংসরা।
ম্যাচের আগে পরিচয় করানোর জন্য সাংবাদিক সম্মেলনে রাজদীপকে আনার ভাবনাও রয়েছে। রাজদীপকে নিয়ে বাগানের অনুর্ধ ১৫ দলের কোচ তনুময় বসু বলছেন, 'খড়দহের ফ্যাশন জোন ফুটবল অ্যাকাডেমি থেকে ওকে আমরা স্কাউট করি। প্রথম দিন থেকেই রাজদীপ নজর কাড়ছে। ছেলেটার শারীরিক শক্তি ভাল। বল আড়াল করতে পারে। গোলের সামনে বল গেলে ১০ বারের মধ্যে অন্তত সাতবার গোল করার ক্ষমতা রাখে। অনেক দিন পর বাংলায় এমন পজিটিভ স্ট্রাইকার উঠছে। আশা করব, ও নিজেকে ধরে রাখতে পারবে।' রাজদীপ কোচের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারে কি না, সেটাই এখন দেখার।