বুধবার আইএফএ শিল্ডের ফাইনালে নিজেদের জায়গা পাকা করে ফেলেছে মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামে ইউনাইটেড স্পোর্টসকে ২-০ গোলে হারিয়ে দিলেও, সেদিকে নজর নেই মোহনবাগান জনতার। মূলত এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২-এর ম্যাচ খেলতে ইরানে না যাওয়ায়, মোহনবাগান ম্যানেজমেন্টের উপরে ক্ষিপ্ত বাগান জনতা। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছে যায় যে, লাঠি চালাতে হয় পুলিশকে। এবার তা নিয়েই আইএফএ-এর কাছে জবাব চাইল মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট ম্যানেজমেন্ট।
বুধবারের ম্যাচে চরম ঝামেলা
অতীতে ফুটবলারদের অনুশীলনের বাইরেও সমর্থকদের বিক্ষোভের ছবি দেখা গিয়েছিল। কিন্তু বুধবারের ম্যাচের পর চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। ম্যাচের শুরুতেই ম্যানেজমেন্টের কর্তাদের পদত্যাগের দাবি করে স্টেডিয়ামের বাইরে ব্যানার লাগান সবুজ-মেরুন সমর্থকেরা। সেই প্রতিবাদ দেখা যায় ম্যাচ চলাকালীনও।
দিমিত্রি পেত্রাতোসের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ
ম্যাচ শেষে পরিস্থিতি আরও বিশৃঙ্খল হয়। দিমিত্রি পেত্রাতোসের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন মোহনবাগান সমর্থকেরা। ফলে বাধ্য হয়ে স্টেডিয়ামের অন্য গেট থেকে বের করে নিয়ে যাওয়া হয় অচি তারকাকে। উল্লেখ্য মোহনবাগান জনতার নয়নের মণি এই নিমিত্রি। এদিনের ম্যাচে গেল করলেও, দিমিত্রিকে ঘিরেই বিক্ষোভ দেখাল বাগান জনতা। সমর্থকদের একাংশ তাঁর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। পরিস্থিতি সামলাতে লাঠিচার্জ শুরু করেন পুলিশরা। দুজন সমর্থককে আটক করা হয়েছে। আহত হয়েছেন তিনজন। তারপরেও স্টেডিয়ামের বাইরে বিক্ষোভ দেখান বাগান সমর্থকেরা। যেই কারণে দুই দলের ফুটবলাররাই আটকে পড়েন স্টেডিয়ামে। অবশেষে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর, মাঠ ছাড়ে দুই দল।
আইএফএ-কে চিঠি
তবে মোহনবাগান টিম ম্যানেজমেন্টের দাবি, পুলিশের ব্যর্থতার জেরেই মার খেতে হয়েছে সমর্থকদের। অনেকেই গুরুতর আহত। আবার অনেককেই আটক করা হয়েছে। এর দায় পুরোপুরি আইএফএ-এর ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়েছে মোহনবাগান টিম ম্যানেজমেন্ট। জবাব চাওয়া হয়েছে বাংলার ফুটবল নিয়ামক সংস্থার কাছ থেকে। তবে এই চাপানউতোরের মাঝে সমস্যা বাড়ছে সমর্থকদের বিক্ষোভের জেরে।