অ্যাওয়ে ম্যাচে প্রথম হার মোহনবাগান সুপার জায়েন্টের। মহমেডান স্পোর্টিং-এর বিরুদ্ধে ডার্বি ম্যাচের আগে হারতে হল হোসে মলিনার দলকে। মস্তিকের লড়াইয়ে জেরার্ড জারাগোজার দলের সঙ্গে একেবারেই প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি মোহনবাগান। যার জেরে ০-৩ গোলে হারতে হল সবুজ-মেরুন শিবিরকে।
টম অ্যালড্রেড ফাটা মাথায় প্রায় গোললাইন থেকে করা সেভ মোহনবাগানকে লড়াইয়ে রাখে। তবে শনিবার মোহনবাগানের ডিফেন্স ভাঙতে কোনও সমস্যাই হচ্ছিল না সুনীল ছেত্রী, নাগুয়েরাদের। শুভাশিস বসুকে নাটমেক করাটা প্রায় রুটিন করে ফেলেছিলেন বিনীথ ভেঙ্কটেশ। দুই একবার বেঙ্গালুরুর তরুণ ফুটবলারকে বোকা বানিয়ে এগিয়ে গেলেও ভুল পাস দিয়ে প্রতিপক্ষের পায়েই বল তুলে দিয়েছেন মোহনবাগান ক্যাপ্টেন। আসলে প্রথামার্ধে ঘরের দলের উপর একটুও চাপ তৈরি করতে পারেনি গতবারের লিগ শিল্ড বিজেতারা। শুধু গোল নয়, প্রভাব বিস্তারও করতে পারেনি মোহনবাগান।
প্রথম গোল আসে এডগার মেন্ডেজের পা থেকে। মাত্র ৯ মিনিটেই গোল করে দলকে এগিয়ে দেন তিনি। রাহুল ভেকের হেড থেকে দিপেন্দু বিশ্বাসকে বোকা বানিয়ে টার্ন করে গোল করে যান। মোহনবাগান ডিফেন্স নিয়ে প্রশ্ন তো উঠবেই, পাশাপাশি হোসে মলিনার রণনীতি নিয়েও প্রশ্ন তুলবেন সমর্থকরা। প্রশ্ন তোলার অবকাশ আরও বেশি করে উঠেছে আরও দুই গোল খাওয়ার পর। কারণ, প্রথম গোল খাওয়ার ১১ মিনিটের মধ্যেই দ্বিতীয় গোল। এবার গোল করেন সুরেশ সিং। সুনীল ছেত্রীর কাছ থেকে বল পেয়ে গোল করেন তিনি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই পেনাল্টি পেয়ে যায় বেঙ্গালুরুর সেখান থেকে গোল করে যান সুনীল। এরপর এএফসি কাপে ট্রাক্টর এফসির সামনে নামতে হবে তাদের। তার আগে এমন হার সমস্যায় ফেলবে সবুজ-মেরুনকে।
গোল খাওয়ার সমস্যা শুরু থেকেই বাড়ছে মোহনবাগানের। আর এদিন বোধহয় সবকিছুই ছাপিয়ে গেল। একের পর দামি বিদেশি ফুটবলার কিনলেও, ডিফেন্স সমস্যার সমাধান করতে পারেনি মোহনবাগান। জা নিয়ে চিন্তা করতেই হবে টিম ম্যানেজমেন্টকে। গত কয়েক ম্যাচে গোল খেলেও পাল্টা গোল করে জয় পেয়েছে বা হার বাঁচিয়েছে মোহনবাগান তবে এবার তা আর হল না। গোল করার ক্ষেত্রেও দক্ষতার ওভাব বারবার নজরে পড়ল।