
ইরানে এএফসি কাপের ম্যাচ খেলতে না যাওয়ায় বড় শাস্তি পেয়েছে মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। তবে এবারই প্রথম নয়, এর আগেও দুইবার এমন শাস্তির মুখে পড়তে হয়েছে সবুজ-মেরুন শিবিরকে। এশিয়ান চ্যাম্পিয়্যান্স লিগ ২-এর ম্যাচ খেলতে না যাওয়ায় মোহনবাগানকে ২ বছরের জন্য নির্বাসিত করল করেছে এশিয়া ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা। পাশাপাশি ৫০ হাজার মার্কিন ডলার অর্থাৎ প্রায় ৪৫ লক্ষ টাকার জরিমানাও করা হয়েছে।
এর আগে কবে এমন ঘটেছিল?
১৯৯৯ সালে এএফসি এশিয়ান ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপে জাপানের জুবিলো ইওয়াতা-কে ম্যাচ ওয়াকওভার দেওয়ায় তিন বছরের জন্য নির্বাসিত হয় মোহনবাগান। তবে এর পরেও ঘটেছে এরকম ঘটনা।
২০২৪ সালে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টু-তে ট্র্যাক্টর এসসির বিরুদ্ধে খেলতে ইরান না যাওয়ায় প্রতিযোগিতা থেকে বাতিল। তবে এক্ষেত্রে বড় শাস্তি পেতে হয়নি সবুজ-মেরুন ব্রিগেডকে। কারণ সেই সময় সত্যিই যুদ্ধ চলছিল সে দেশে। এক বছর পর সেই ইরানেই না যাওয়ায় শাস্তির মুখে পড়তে হল মোহনবাগান সুপার জায়েন্টকে।
২০২৫ সালে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টু-তে সেপাহান এফসির বিরুদ্ধে ইরানে খেলতে না যাওয়ায় দুই মরসুম নির্বাসিত হল মোহনবাগান। শাস্তির আশঙ্কা আগে থেকেই ছিল। তবে এবার তাতে সরকারি শিলমোহর পড়ল।
কী কারণে এবার খেলতে গেল না মোহনবাগান?
সেপ্টেম্বরে এশিয়ান চ্যাম্পিয়্যান্স লিগ ২-এ ইরানের ক্লাব সেপাহানের বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলতে ইরান সফরে যাওয়ার কথা ছিল মোহনবাগানের। কিন্তু নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে ইরান যেতে রাজি হয়নি ক্লাবটি। পাশাপাশি ফুটবলাররাও ইরান যেতে রাজি ছিলেন না। অস্ট্রেলিয়ার ফুটবলার বেশি হওয়ায় তারা ভিসা পাচ্ছিলেন না। দুর্বল দল নিয়ে কোনওভাবেই প্রবলতর প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে নামতে রাজি হয়নি মোহনবাগান। ফলে ওয়াকওভার নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা বাগান কর্তৃপক্ষ জানায়। সেই ঘটনার জেরেই এই শাস্তি ভোগ করতে হচ্ছে শতাব্দী প্রাচীন ক্লাবকে।
১৭ ডিসেম্বর AFC-র শৃঙ্খলা ও এথিক্স কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, মোহনবাগান এসজি-কে ২০২৭-২৮ মরসুম পর্যন্ত AFC প্রতিযোগিতা থেকে নিষিদ্ধ করা হবে।