সুপার কাপে (Super Cup 2025) মূল দল নামাবে মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট (Mohun Bagan Super Giant)? লিগ শিল্ড ও আইএসএল ট্রফি জেতার পর থেকেই এই প্রশ্ন বারবার উঠে আসছে মোহনবাগান সমর্থকদের মধ্যে। সবুজ-মেরুন সূত্রের খবর, সুপার কাপ এখন অনেকটাই গুরুত্ব হারিয়েছে। ফলে সেখানে মূল দলের ফুটবলারদের খেলানোর ঝুঁকি নিতে চাইছে না মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট ম্যানেজমেন্ট। যদিও এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। সোমবার বিকেলের পর এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে টিম ম্যানেজমেন্ট।
কেন মূল দলের ফুটবলারদের খেলাবে না মোহনবাগান?
ভুবনেশ্বরে ২০ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে সুপার কাপ। প্রচন্ড গরমে খেলতে হবে সবুজ-মেরুন ফুটবলারদের। সামনেই রয়েছে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কঠিন লড়াই। তার আগে কোনও তারকা ফুটবলার চোট পেলে সমস্যা বাড়বে। তা ছাড়া লিগ শিল্ড জেতার পরেই এএফসি-তে খেলা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে মোহনবাগানের। ফলে এবারে সুপার জিতেও ট্রফি ছাড়া আলাদা করে কিছু পাওয়ার নেই। পাশাপাশি বিরাট মরসুম শেষ হওয়ার পর ক্লান্তিও একটা বড় ফ্যাক্টর। দুই টুর্নামেন্টের মাঝে কিছুটা সময় থাকলে হয়ত ফুটবলারদের কিছুটা ছুটি দেওয়া যেত। সেক্ষেত্রে ফুরফুরে মেজাজে সুপার কাপের লড়াইয়ে নামতে পারতেন তারা। তবে অত সময় নেই। এই কারণেই রিজার্ভ বেঞ্চের ফুটবলারদের সঙ্গে নুনো রেইজকে নামিয়ে দিতে চাইছে মোহনবাগান।
নাম প্রত্যাহার চার্চিলের
সুপার কাপ থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিল চার্চিল ব্রাদার্স। সুপার কাপে গোয়ার দলের প্রথম ম্যাচ ছিল মোহনবাগানের বিরুদ্ধে। ফলে চার্চিল যদি না খেলে, তাহলে প্রথম ম্যাচে ওয়াক ওভার পেয়ে যেতে পারে মোহনবাগান। যদিও এই বিষয়ে এআইএফএফ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।
ঘটনার সূত্রপাত আই লিগের চ্যাম্পিয়ন কে হবে, সেই জটিলতা নিয়ে। ২২ ম্যাচে গোয়ার দলের পয়েন্ট ৪০। সেখানে সমসংখ্যক ম্যাচে ইন্টার কাশীর পয়েন্ট ৩৯। তারপরও এখনই কোনও দলকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা যায়নি। কারণ ইন্টার কাশী আবেদন করেছে, নামধারী এফসি তাদের বিরুদ্ধে 'অবৈধ প্লেয়ার' খেলিয়েছিল। সেখান থেকে তিন পয়েন্ট পেলে চ্যাম্পিয়ন হবে হাবাসের দল।
বিষয়টি আপাতত আপিল কমিটির অধীনে। কে চ্যাম্পিয়ন হবে, সেই সিদ্ধান্ত হবে সেখানেই। যদিও চার্চিল মনে করছে, তাদের বিরুদ্ধে 'বিমাতাসুলভ' আচরণ করছে এআইএফএফ। এর মধ্যে সুপার কাপের সূচিও বানিয়ে ফেলেছে তারা। যেহেতু চ্যাম্পিয়ন কে নির্ধারিত হয়নি, তাই কার্যত লটারি করতে হয়েছে। যে পদ্ধতিতে 'অনিয়ম' ও 'স্বচ্ছতার অভাব' রয়েছে অভিযোগ রয়েছে। অতএব প্রতিবাদস্বরূপ তারা সুপার কাপ থেকে নাম তুলে নিচ্ছে। সুপার কাপে তাদের ম্যাচ ২০ এপ্রিল মোহনবাগানের বিরুদ্ধে। তারা নাম তুলে নিলে 'ওয়াকওভার' পেয়ে পরের রাউন্ডে চলে যেতে পারে মলিনার দল।