শোনা গিয়েছিল, ইস্টবেঙ্গলের র্যাডারে আছেন রবসন রবিনহো। তবে এখন শোনা যাচ্ছে, বসুন্ধরা কিংসের প্রাক্তন তারকা নাকি ঝুঁকে রয়েছেন মোহনবাগান সুপার জায়েন্টের দিকে। সূত্রের খবর, সবুজ-মেরুন রিক্রুটারদের কাছে রবিনহোর সিভি পৌঁছে গিয়েছে। সুপার কাপের পর, কোচ হোসে মলিনা সবুজ সংকেত দিলেই তাঁকে সই করিয়ে ফেলবে মোহনবাগান।
রবিনহোর সঙ্গে টাকা পয়সার ব্যাপারেও তেমন কোনও সমস্যা নেই। ফলে শুধু কোচের সম্মতি পেলেই সবুজ-মেরুন জার্সি পরতে পারেন রবসন রবিনহো। অস্কার ব্রুজোর প্রাক্তন ছাত্র পরের মরসুমেই গুরুর দলের গোলে বল ঢোকানোর চেষ্টা করবেন বলে শোনা যাচ্ছে। বসুন্ধরা ছাড়ার পরে নিজের দেশ ব্রাজিলে ফিরে আগুয়া সান্তার হয়ে ফুটবল খেলেছেন। তবে বারবার ফিরতে চেয়েছেন ভারতের উপমহাদেশে। অস্কার ইস্টবেঙ্গলের কোচ হয়ে আসার পরেই সেই সম্ভাবনা জোরাল হয়েছিল।
তবে আপাতত তিনি যে লাল-হলুদের জার্সি পরছেন না তা এক প্রকার স্পষ্ট। মোহনবাগান যেভাবে এই মরসুমে খেলছে তাতে যে কোনও ফুটবলারই এই দলে খেলতে চাইবেন। রবসনের ক্ষেত্রেও তেমনটাই হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। শোনা গিয়েছিল, রবসন আরেক ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার ক্লেইটন সিলভার জায়গায় ইস্টবেঙ্গল দলে আসতে পারেন। তবে ক্লেইটন সুপার কাপের আগে ক্লাব ছেড়ে চলে গেলেও, রবিনহোকে নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। ফলে এখন যা পরিস্থিতি তাতে মোহনবাগানের সঙ্গেই চুক্তিবদ্ধ হতে পারেন নেইমারের বিরুদ্ধে খেলা এই ফুটবলার।
বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংসের জার্সিতে ২০২১ সালের পর থেকে ভুরি ভুরি গোল রয়েছে তাঁর। অর্থাৎ পজিটিভ বক্স স্ট্রাইকার বলতে যান বোঝায়। এএফসি কাপেও ভালো পারফরমেন্স ছিল। মোহনবাগানে যোগ দিলে গ্রেগ স্টুয়ার্টের অভাব অনেকটাই পূরন করতে হবে ব্রাজিলিয়ান ফুটবলারকে। ফলে প্রত্যাশার চাপ অনেকটাই বেশি থাকবে। এখন দেখার সেই চাপ কীভাবে রবসন কাটিয়ে উঠে সবুজ-মেরুন জার্সিতে নিজেকে প্রমাণ করেন। তবে ইস্টবেঙ্গলের ডেরা থেকে আবারও ছোঁ মেরে আরও এক ফুটবলারকে তুলে নেওয়ার পথে মোহনবাগান। তা বলাই যায়।