পিছিয়ে পড়েও জয়। ঘরের মাঠে ডাবল করে ফেলল মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে ২-১ গোলে জিতে শিল্ডের পর আইএসএল কাপও জিতে নিল সবুজ-মেরুন।
৯ মিনিটেই গোল করার সুযোগ এসে গিয়েছিল মোহনবাগানের। পেনাল্টি বক্সের মধ্যে রোশনের ভুলের সুযোগ নিয়ে ম্যাকলরেন ঢুকে পড়লে সমস্যায় পড়ে বেঙ্গালুরু। গুরপ্রীতের হাত থেকে বল বেরিয়ে এলেও, জেসন কামিন্স গোল করতে পারেননি। এরপর থেকেই আক্রমণের ঝাঁজ বাড়ায় সবুজ-মেরুন। ১৮ মিনিটে মনবীর সিং-এর ডানদিক থেকে বাড়ান বল ম্যাকলরেন অল্পের জন্য পৌঁছতে না পারায় গোল হয়নি।
পরের মিনিটেই সুনীল ছেত্রীর দারুণ হেড সেভ করেন শুভাশিস বসু। ফিরতি বলে হেডে জোর না থাকায় তা চলে যায় বিশালের হাতে। এরপর নামগাল ভুটিয়া দ্বিতীয় পোস্টের দিকে শট করলেও, দারুণভাবে সেভ করেন বিশাল কাইত। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই দুই দল গোলের সুযোগ পায়। তবে গোল হয়নি। প্রথম ক্ষেত্রে নগুয়েরার শট দারুণ সেভ করেন বিশাল। পরের মুহূর্তেই জেসন কামিন্সের ক্রস থেকে মনবীরের হেড বাইরে যায়।
৪৮ মিনিটে ভাগ্যের সহায়তায় গোল পায় বেঙ্গালুরু। ডানদিন থেকে রায়ান উইলিয়ামসের ক্রস বাইরে বের করতে গিয়ে আলবার্তো রদ্রিগেজের শিন বোনে লেগে বল ঢুকে যায় গোলের মধ্যে। ৫৭ মিনিটে জেসন কামিন্সের শট সেভ করেন গুরপ্রীত সিং সান্ধু। সাহাল আব্দুল সামাদ ও আশিক ক্রুনিয়ান মাঠে নামতেই ছন্দ ফিরে পায় মোহনবাগান। লং বলের স্ট্র্যাটেজি ছেড়ে দুই প্রান্ত দিয়ে আক্রমণ করতে থাকে। সেটাই মোহনবাগানের শক্তি। ৭১ মিনিটে ম্যাকলরেনের শট সানা সিং-এর হাতে লাগে। পেনাল্টি পায় মোহনবাগান। ৭২ মিনিটে জেসন কামিন্সের দারুণ গোলে সমতা ফেরায় মোহনবাগান।
৯০ মিনিটে আশিক ক্রুনিয়ান ৩ ফুটবলারকে কাটিয়ে গোলে শট করলেও গুরপ্রীত তা সেভ করেন। ৯৩ মিনিটে জেমি ম্যাকলরেন গোল করার সুযোগ পেলেও তা করতে পারেননি। নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হয় ১-১ গোলে। ৯৬ মিনিটে জেমি ম্যাকলরেনের গোলে এগিয়ে যায় মোহনবাগান। গ্রেগ স্টুয়ার্টের পাস ক্ষিপ্রতার সঙ্গে বল ধরে গোলে শট করেন ম্যাকলরেন। গুরপ্রীতের পায়ের ফাঁকা দিয়ে তা গোলে ঢোকে।