জামশেদপুরের বিরুদ্ধে ম্যাচে মোহনবাগানকে সমর্থন করতে সুদূর বনগাঁ থেকে গিয়েছিলেন রিপন মণ্ডল। আর সেখানেই হেনস্থার মুখে পড়তে হয় বলে অভিযোগ। পুলিশের লাঠির আঘাতে আহত হয়ে পড়ে যান রিপন। মাথা ফাটে মোহনবাগান সমর্থকের। মাঠের বাইরে নয়, মাঠেই এর বদলা নেবেন জেসন কামিন্স দিমিত্রি পেত্রাতোসরা। এমনটাই এখন আশা রিপনের।
মাথার পিছন দিকে গভীর ক্ষত। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। মাঠে বসে ম্যাচ শেষ অবধি দেখা হয়নি। প্রাথমিক চিকিৎসার পর, জামশেদপুর থেকে ভোরের ট্রেন ধরে বাড়ি ফিরেছেন। মাথায় এখনও যথেষ্ট যন্ত্রণা। এসব কিছু নিয়েও সোমবার যুবভারতীতে যেতে চাইছেন রিপন। সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে মোহনবাগানের জন্য গলা ফাটাতে।
বলছিলেন, 'মাথায় এখনও বেশ যন্ত্রণা। কাল রাতে আমার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখে বাড়ির লোক আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল। বাড়ি ফিরে আবার ডাক্তার দেখিয়েছি। ডাক্তার জানিয়েছেন, আরেকটু উপরে ক্ষত হলে মরেও যেতে পারতাম। রক্ত যদি জমাট বেঁধে যেত তাতেও বড় ক্ষতির আশঙ্কা ছিল। তাও সিটি স্ক্যান করানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে।'
এর আগে জামশেদপুরে চারবার মোহনবাগানের খেলা দেখতে গিয়েছেন। ট্রেনের জেনারেল কামরায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ডার্বি দেখতে ছুটে গিয়েছেন গুয়াহাটিতে। শুধু সবুজ-মেরুনের টানে। কিন্তু এমন বীভৎস অভিজ্ঞতার পর কি আর মাঠে যাবেন? রিপন যদিও জানিয়ে দিলেন, 'অবশ্যই যাব। তবে তারও আগে সোমবার ম্যাচ দেখতে যুবভারতীতে যাব। আমাদের কয়েকজনের ওপর পুলিশ এবং জামশেদপুর সমর্থকরা কীভাবে আক্রমণ করেছে ফুটবলাররা জানে। আমাদের রক্তের বদলা দিমিত্রিরা মাঠেই নেবে। আমরাই ফাইনালে যাব। আর জামশেদপুর সমর্থকরা যদি খেলা দেখতে আসে, আমরা কথা দিতে পারি তাদের ওপর আক্রমণ হবে না। মাঠেই ওদের হারিয়ে উত্তর দেব।'
সোমবারের ম্যাচ ঘুরে দাঁড়ানোর ম্যাচ, বদলার সুযোগ। ১-২ গোলে পিছিয়ে থাকা সবুজ-মেরুনের জন্য গলা ফাটাতে তৈরি হচ্ছেন শত শত রিপনরা। নিজেদের সব পুঁজি এক জায়গায় করে যারা প্রিয় দলের জন্য সবটা উজাড় করে দেন। তাদের জন্যই জিততে মরিয়া হোসে মলিনার দল।