জামশেদপুর এফসির (Jamshedpur FC) মত শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে সাহাল আব্দুল সামাদকে (Sahal Abdul Samad) ছাড়াই মাঠে নামতে হবে মোহনবাগান সুপার জায়েন্টকে (Mohun Bagan Super Giant) বৃহস্পতিবার সকালে দলের সঙ্গে পুরোপুরি অনুশীলন করেননি সাহাল। মনে করা হচ্ছে হালকা চোট রয়েছে মোহনবাগান মিডফিল্ডারের। সাহালের অনুপস্থিতিতে আপুইয়ার (Apuia Ralte) পাশে দীপক টাংরিকে (DEEpak Tangri) ব্যবহার করার সম্ভাবনাই সবথেকে বেশি।
তবে অনিরুদ্ধ থাপার (Aniruddha Thapa) পর সাহালের চোট দুশ্চিন্তা বাড়ালো সবুজ-মেরুন শিবিরে। চলতি আইএসএলে (ISL) খালিদ জামিলের (Khalid Jamil) জামশেদপুর এফসি ঘরের মাঠে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে। শেষ পাঁচ ম্যাচের মধ্যে চারটিতেই জয় পেয়েছে তারা। জর্ডন মারে, জাভি হার্নান্ডেজদের লড়াকু মানসিকতাই খালিদ জামিলের দলের মূল শক্তি। লিগ টেবিলের শীর্ষে থাকা দলের কাছে একটাই লক্ষ্য, লিগ শিল্ড জয়ের দৌড়ে আরও কিছুটা রসদ সংগ্রহ করে নেওয়া।
ডার্বি জিতেও সন্তুষ্ট নন কোচ হোসে মোলিনা। লিস্টন, মনবীরদের খেলায় মন ভরেনি মোহনবাগান সমর্থকদের। মাঝমাঠে গ্রেগ স্টুয়ার্টের অভাব স্পষ্ট বোঝা গিয়েছে। শুক্রবার প্রাক্তন দলের বিরুদ্ধে নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগ পেতে পারেন স্কটিশ মিডিও। সাহালের অনুপস্থিতিতে দলের মাঝমাঠে শক্তি বাড়াতে বাড়তি দায়িত্ব থাকতে পারে গ্রেগ স্টুয়ার্টের উপর। কলকাতা ছাড়ার আগে বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনে হোসে মোলিনা বলেন, 'আমাদের দলে এখনও অনেক উন্নতি করার ভায়গা রয়েছে। অল্পেই সন্তুষ্ট হলে চলবে না। আমি চাই দলের প্রতিটি বিভাগ আরও উন্নতি করুক।' অন্যদিকে, বড় ম্যাচে রেফারি বিতর্কের পর মুখ খুললেন জেসন কামিন্স। তিনি বলেন, 'রেফারিও মানুষ। তাদেরও ভুল হতে পারে। কিন্তু তাদের সিদ্ধান্তের জন্য আমাদের পরিশ্রমটা খাটো করে দেখার কোনও কারণ নেই।'
গোলে প্রভসুকান গিল, ডিফেন্সে টম অ্যালড্রেড, আলবের্তো রড্রিগেজ, শুভাশিস বসু ও আশিস রাই। মিডফিল্ডে খেলবেন আপুইয়া, দীপক টাংরি, লিস্টন কোলাসো ও মনবীর সিং। আক্রমণে জেমি ম্যাকলরেন ও জেসন কামিন্স।