শরীরকে শূন্যে ছুঁড়ে দিয়ে বাইসাইকেল কিকের কায়দায় গোল করেছেন এর আগে। আর এবার কলকাতা লিগে চার ফুটবলারকে কাটিয়ে গোল। প্রতিবারই ঘরোয়া লিগে সাহিল হরিজন চমক দিচ্ছেন। তারকা ফুটবলারদের ভিড়ে সাহিল এবারও এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। বাংলা তথা ভারতীয় ফুটবল যখন স্ট্রাইকারের অভাবে ভুগছে তখন সাহিলরাই ভরসার জায়গা।
শনিবার এরিয়ান ক্লাবের বিরুদ্ধে পাঠচক্রের ২-১ জয়ের প্রধান কান্ডারি এই সাহিল। বল ধরতে গিয়েই কিছুটা ভারসাম্য হারিয়ে ফেলছিলেন এই তরুণ স্ট্রাইকার। কোনওমতে নিজেকে সামলে উঠেই গোলের দিকে এগিয়ে যেতে থাকেন সাহিল। একের পর এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে পেনাল্টি বক্সের সামনে এসে দ্বিতীয় পোস্টের দিকে শট করেন। একেবারে টপ কর্নার দিয়ে বল জালে জড়ান। গোলকিপারের কিছুই করার ছিল না।
গতবারের মতো এবারেও তাঁকে ঘিরেই স্বপ্ন দেখছে পাঠচক্র। ২০২৩-এর কলকাতা লিগে সাদার্ন সমিতির বিরুদ্ধে বাইসাইকেল কিকে গোল করে নজরে এসেছিলেন সাহিল। সে সময় তিনি ছিলেন পাঠচক্রের ফুটবলার। বিরতির আগে এক গোল পিছিয়ে পড়েছিল তাঁর দল। সেখান থেকে দলকে সমতায় ফিরিয়েছিলেন সাহিল হরিজন। মাঠের ডান প্রান্ত থেকে ভেসে আসা ক্রসে শরীর শূন্যে ছুঁড়ে দিয়ে গোল করেছেন এই তরুণ তুর্কি।
আই লিগ দ্বিতীয় ডিভিশনে হ্যাটট্রিকও রয়েছে সাহিলের। মহারাষ্ট্রের ক্লাব ওরাঞ্জে এফসি-র বিরুদ্ধে। মোহনবাগান সুপার জায়েন্টের হয়েও এর আগে খেলেছে সাহিল। ভারতীয় দলের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচেও খেলেছেন সাহিল। ২০২৩-২৪ মরসুমে করেছেন ১১টি গোল। ১৯ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকারকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত বাংলার ফুটবলপ্রেমী জনতা। কলকাতা লিগ তো বটেই, ভারতীয় ফুটবলের অন্যতম সেরা সাপ্লাই লাইন এই পাঠচক্র ও ইউনাইটেড স্পোর্টস। অ্যাকাডেমি থেকে ফুটবলার তুলে এনে নানা বয়সভিত্তিক লিগ খেলা তো আছেই, পাশাপাশি কলকাতা লিগ, আই লিগের বিভিন্ন ডিভিশনে নিয়মিত খেলে এই ক্লাব। আর সেখান থেকেই উঠে আসেন সাহিলরা। এবারের লিগ থেকে আরও কয়েকজনের উঠে আসার আশা করছেন কর্তারা।