সুপার কাপের সেমিফাইনালে উঠে গেল এফসি গোয়া। মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের বিরুদ্ধে সেমিতে খেলবে মানেলো মার্কেজের দল। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ম্যাজিক দেখাল এফসি গোয়া। পঞ্জাব এফসির বিরুদ্ধে ৮৮ মিনিট পর্যন্ত পিছিয়ে থাকার পর দুরন্ত প্রত্যাবর্তন আইএসএলের শিল্ডের রানার্প আপ দলের। আইএসএলের শিল্ডের ফার্স্ট বয় আর সেকন্ড বয়ের কেউই সুপার কাপের ফাইনালে উঠতে পারবে না।
৮৮ মিনিট পর্যন্ত পঞ্জাব এফসি দুর্দান্ত লড়াই দিয়ে গেল। কিন্তু শেষদিকে পরমবীর দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তেই খেলার রং বদলে যায়। এফসি গোয়া নিউমেরিক্যাল সুপ্রিমেসি কাজে লাগাতে থাকে, আর সেই সুবাদেই ৮৯ মিনিটে এবং সংযুক্ত সময়ে গোল করে এফসি গোয়া দল সেমির টিকিট নিশ্চিত করে ফেলল।
প্রথমার্ধে গোয়াকে এগিয়ে দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন উদান্তা সিং, কিন্তু একটুর জন্য তিনি গোলে বল রাখতে পারেননি। এদিকে পুলগা ভিদালের থেকে বল পেয়ে পরমবীরের হেডার একটুর জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ইকারের নেওয়া শট পঞ্জাব এফসির ডিফেন্ডারের হাতে লাগলেও রেফারি পেনাল্টি দেয়নি। প্রথমার্ধে পঞ্জাব এফসি বেশি আক্রমণাত্মক ছিল গোয়ার বিরুদ্ধে।
দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর ১২ মিনিটের মধ্যেই গোল পেয়ে যায় পঞ্জাব এফসি। পুলগা ভিদাল গোল করে পঞ্জাবকে এগিয়ে দেন। এই গোলের পরই পঞ্জাব এফসি কিছুটা রক্ষণাত্মক খোলসে ঢুকে পড়ে, তাতেই এফসি গোয়া সুযোগ পেয়ে গিয়েছিল। কিন্তু গোল আসেনি।
মাঝে পরমবীরের চোটটাই বড় পার্থক্য গড়ে দিল দুই দলের মধ্যে। ৮৯ মিনিটে এফসি গোয়াকে সমতায় ফেরালেন গতবার সুপার কাপ জয়ী ইস্টবেঙ্গল দলের সদস্য বোর্হা হেরেরা। দেখে মনে হচ্ছিল, ম্যাচ গড়াবে টাইব্রেকারে। কিন্তু তখনও বাকি ছিল ক্লাইম্যাক্স। সংযুক্তি সময় ৯৩ মিনিট নাগাদ মহম্মদ ইয়াসির গোল করে গোয়াকে কাঙ্খিত ব্যবধান এনে দেন। এরপর পঞ্জাবের কাছে আর ম্যাচে সমতা ফেরারও তেমন সুযোগ ছিল না। ফলে শেষ চারে উঠে এল গোয়া।