এ মাসেই শুরু হতে চলেছে ডুরান্ড কাপ (Durand Cup)। চলবে ২৩ আগস্ট পর্যন্ত। তবে এখন থেকেই সমস্ত মাঠ চলে গিয়েছে সেনাবাহিনীর দখলে। কলকাতা লিগ (CFL) ও ডুরান্ড কাপের (Durand Cup) আগে দুই দলই নিজেদের মাঠে অনুশীলন করতে পারছে না। ফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। তরুণ ফুটবলারদের বাধ্য হয়েই অ্যাস্ট্রোটার্ফে প্র্যাকটিস সারতে হচ্ছে। এতে বাড়ছে চোটের সমস্যা।
বুধবার থেকেই অন্যত্র অনুশীলন করছে কলকাতা ময়দানের দুই প্রধান দল তথা মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট (Mohun Bagan Super Giant) এবং ইমামি ইস্টবেঙ্গল (Emami East Bengal) ফুটবল ক্লাব। এক্ষেত্রে বেছে নেওয়া হয়েছে নিউটাউনকে। সেখানে ফেডারেশনের সেন্টার অফ এক্সিলেন্সের মাঠের অ্যাস্টোটার্ফে অনুশীলন করছে লাল-হলুদের পাশাপাশি সবুজ-মেরুনের ফুটবলারদের। তবে সেই সমস্যা কাটিয়ে জয়ের সরণিতে ফেরাই এখন প্রধান লক্ষ্য মোহনবাগানের। কারণ কলকাতা লিগে প্রথম ম্যাচে হারতে হয়েছে তাদের।
এর মধ্যেই ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াইয়ে সমস্যা বেড়েছে মাঠ নিয়ে। মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট ব্যাপারটা নিয়ে খুবই ক্ষুব্ধ। তাদের দাবি, এমনটা চলতে থাকলে ফুটবলারদের চোট লাগবে। অন্য কোনও প্র্যাকটিস মাঠের ব্যবস্থা না করলে সমস্যা বাড়বে। লম্বা এই মরসুমে ফুটবলাররা চোট পেলে কলকাতা লিগ তো বটেই ডুরান্ড কাপ সহ বাকি টুর্নামেন্ট গুলোতে চোটের কারণে তারকারা বাদ পড়টে পারেন। কারণ এই দুই টুর্নামেন্টে মূলত যুব দল খেললেও, স্কোয়াডে কয়েকজন সিনিয়র দলের ফুটবলারও থাকবেন। তাদের চোট লেগে গেলে, আইএসএল-এ দলের ক্ষতি হবে।
দল তুলে নিয়েছে বেশ কয়েকটি ক্লাব
ডুরান্ড কাপ খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। সে জন্যই কি তাদের বিরুদ্ধে এমন ব্যবস্থা? তা অবশ্য জানা যায়নি। তবে আরও এক বড় ক্লাব ইস্টবেঙ্গল খেলবে বলে জানিয়ে দিয়েছে। কেরল ব্লাস্টার্স থেকে শুরু করে অনেক ক্লাবই ডুরান্ড কাপ খেলবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। এ অবস্থায় ডুরান্ড কাপ আয়োজন করাই বড় চ্যালেঞ্জ।