মুম্বই সিটি এফসি-র বিরুদ্ধে এফসি গোয়া জিতে যাওয়ায় মোহনবাগান সুপার জায়েন্টের লিগ শিল্ড জেতা আরও দীর্ঘায়িত হল। ২০ ম্যাচে ৩৯ পয়েন্ট গোয়া থাকল দুই নম্বরে। ২০ ম্যাচে ৪৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে মোহনবাগানই। ফলে শুধু আসন্ন কেরল ব্লাস্টার্স ম্যাচ তলেই হবে না। ঘরের মাঠে জিততে হবে ওড়িশা ম্যাচও। এই দুই ম্যাচে জিততে না পারলে মোহনবাগানের লিগ জেতার অপেক্ষা আরও বাড়বে।
প্রথম লেগে হারের সুমধুর বদলা নিল শিল্ড জয়ের দাবিদার এফসি গোয়া (FC Goa)। মুম্বইয়ের (Mumbai City FC) মাটিতে কার্যত অনায়াসে গুরুত্বপূর্ণ জয় ছিনিয়ে নিল মানেলো মার্কেজের ছেলেরা, প্রথমার্ধেই ইকেরের জোড়া গোলে এগিয়ে যায় তারা। তিরির অনুপস্থিতিতে ডিফেন্স দানা বাঁধতেই পারেনি মুম্বইয়ের, দ্বিতীয়ার্ধেও প্রকট হয় ফাঁকফোকর। গোয়ার হয়ে তিন পয়েন্ট নিশ্চিত করতে তৃতীয় গোলটি করেন বোরহা, সেই ডিফেন্সের ভুলেই। অধিক পজেশন, প্রচুর পাসিং সত্ত্বেও কার্যকরী ফুটবল খেলেনি পিটারের দল। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে গিয়ে পেনাল্টি পায় মুম্বই, যাতে গোল করেন তাদের অধিনায়ক চাংতে।
জয়ের ফলে ২০ ম্যাচে ৩৯ পয়েন্ট গোয়ার, অর্থাৎ লিগ পর্যায়ে বাকি সব ম্যাচ (কেরালা, পঞ্জাব, মহমেডান, মোহনবাগান) জিতলে ৫১ পয়েন্ট অবধি পেতে পারে তারা। লীগ শীর্ষে থাকা বাগানের হাতে চারটি ম্যাচ, যার মধ্যে শেষেরটি গোয়ার বিরুদ্ধেই। তবে তাদের পয়েন্ট ৪৬, অর্থাৎ গোয়া ম্যাচের আগের তিনটি ম্যাচে (কেরালা, ওড়িশা, মুম্বই, গোয়া) দুটি জিতলেই শিল্ড নিশ্চিত বাগানের।
সেই কারণেই কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচে জয় ছাড়া কিছু নিয়ে ভাবতে নারাজ মোহনবাগান। এই ম্যাচে চোটের কারণে নামতে পারবেন না কেরালার নোয়া। অবশ্য, বাগানের মধ্যমণি গ্রেগ স্টুয়ার্ট এই ম্যাচে থাকবেননা কার্ডের সমস্যায়। বাকি বিদেশিদের মধ্যে আক্রমণভাগে ম্যাকলারেন ও কামিন্স জুটিতে ভরসা রাখার পাশাপাশি দিমির উপরেও নজর থাকবে মেরিনার্সদের। ডিফেন্সে দীপেন্দুকে আরো একবার শুরু থেকে খেলতে দেখতে চাইছেন সমর্থকরা, তবে চোটের কারণে সাহাল হয়তো নামতে পারবেননা তার প্রাক্তন দলের বিরুদ্ধে। এই ম্যাচে তিন পয়েন্ট পেয়ে গেলে ওড়িশা ম্যাচে যুবভারতীতে, নিজেদের সমর্থকদের সামনে, নিজেদের শিল্ড ডিফেন্ড নিশ্চিত করার সুবর্ণ সুযোগ থেকে যাবে মলিনার সামনে।