আইএসএলের লিগ পর্ব শেষ হবে ১২ মার্চ। মোহনবাগান সুপারজায়ান্টের শেষ ম্যাচ ৮ মার্চ। কিন্তু সবুজ মেরুনের লিগ শিল্ড জয়ের জন্য বোধহয় শেষ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে না। হোসে মোলিনার টিম যে গতিতে এগোচ্ছে, তাতে সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে ২৩ ফেব্রুয়ারি যুবভারতীতে ওড়িশা এফসির বিরুদ্ধে কিংবা ১ মার্চ মুম্বই স্পোর্টস এরিনায় মুম্বই সিটি এফসি ম্যাচেই ট্রফি উঠতে পারে শুভাশিস বসুর হাতে।
আর কত পয়েন্ট দরকার মোহনবাগানের?
মোহনবাগানের ১৯ ম্যাচে ৪৩ পয়েন্ট। দ্বিতীয় স্থানে থাকা জামশেদপুরের ১৮ ম্যাচে ৩৪ পয়েন্ট। তৃতীয় গোয়ার ১৮ ম্যাচে ৩৩ পয়েন্ট। খালিদ জামিলের জামশেদপুর বাকি ৬ ম্যাচে জিতলে পৌঁছবে ৫২ পয়েন্টে। গোয়া এগোতে পারবে ৫১ পয়েন্ট পর্যন্ত। এ ক্ষেত্রে মোহনবাগানের শিল্ড জিততে ম্যাজিক ফিগার ৫৩। যদিও ২২ পয়েন্টে গেলেও শিল্ড কার্যত তাদের। কারণ জামশেদপুরের থেকে গোলের গড়ে এগিয়ে মলিনার টিম। হেড টু হেডের অঙ্কেও এগিয়ে মোহনবাগান। তাই এখন আগামী তিনটে ম্যাচ (৫৫ ফেব্রুয়ারি পাল্লাব, ১৫ ফেব্রুয়ারি কেরালা ও ২৩ ফেব্রুয়ারি ওড়িশাঃ) জিতলেই বাগানের ঘরে শিল্ড চলে আসবে।
এর মধ্যে আবার জামশেদপুরের দুটো কঠিন ম্যাচ রয়েছে বেঙ্গালুরু ও নর্থ ইস্টের বিরুদ্ধে। এই দুই ম্যাচে খালিদের টিম পয়েন্ট খোয়ালে অ্যাডভান্টেজ মোহনবাগান। পয়েন্ট নিয়ে মলিনা অবশ্য বিশেষ মাথা যামাচ্ছেন না। তাঁর নীতি একটা করে ম্যাচ নিয়ে ভাবা। সেই লক্ষ্যেই তার দলও। কার্ড সমস্যায় কালকের ম্যাচে মোহনবাগান কোচ পাবেন না তাঁর স্টপার টম আলড্রেড আর ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার আপুইয়াকে। তবে টিমের পক্ষে ভালো খবর, সোমবার পুরোদমে প্র্যাক্টিস সেরেছেন স্প্যানিশ স্টপার আলবার্তো রদ্রিগেস। মহামেডান ম্যাচে আনবার্তো খেলতে পারেননি চোটের জন্য। ওই ম্যাচে টমের সঙ্গে জুটি বেঁয়েছিলেন দীপেন্দু বিশ্বাস। এবং যথেষ্ট ভালো খেলেছিলেন বঙ্গসন্তান। পঞ্জাব ম্যাচে তিনিই জুটি বাঁধবেন আলবাতেরি সঙ্গে।
এই ম্যাচে খেলতে পারবেন না আপুইয়া। তাঁর জায়গায় মোলিনা তৈরি রাখছেন অভিষেক সূর্যবংশীকে। তবে শিল্ড কোনও উদ্বেগ নেই মোহনবাগান শিবিরে।