মঙ্গলবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের রাতে মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট (Mohun Bagan Super Giant) হেরে গিয়েছে। তুর্কমেনিস্তান থেকে উড়ে আসা দল আহাল এফকের (Ahal FK) বিরুদ্ধে হারের পরেই এবার ক্ষোভ আছড়ে পড়ছে কোচ জোসে মলিনার বিরুদ্ধে। ঘরের মাঠে তুর্কমেনিস্তানের ক্লাবের কাছে পর্যদুস্ত হওয়ার পর সমর্থকদের রোষ কমছে না।
কী কী কারণে ক্ষোভ?
ডুরান্ড কাপে হারতে হয়েছে ডার্বি (Kolkata Derby) ম্যাচ। সেই হারের পর ছয় সপ্তাহ রুদ্ধদ্বার অনুশীলন করেছে সবুজ-মেরুন। জাতীয় দলের শিবিরের জন্য ফুটবলারও ছাড়েনি তারা। কিন্তু তারপরেও মাঠের পারফরম্যান্সে হতাশ করলেন কামিন্স, ম্যাকলারেনরা। আহাল এফকের বিরুদ্ধে ম্যাচ শেষের লম্বা বাঁশি বাজতেই গ্যালারি থেকে উঠল 'গো ব্যাক মোলিনা' স্লোগান। সমাজ মাধ্যমেও সমর্থকদের সমালোচনার মুখে পড়ছেন বাগান কোচ। গত মরসুমে জোড়া ট্রফি দেওয়া কোচ, এই মরসুমের শুরুতেই প্রবলভাবে সমালোচিত।
অনেকটা দেরি করে প্রাক মরসুম শুরু করা, তারপর মাঠে নামতেই একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত সমস্যায় ফেলেছে মোহনবাগান দলকে। মঙ্গলবারের ম্যাচে কেন সফল মিডফিল্ডার জেসন কামিন্সকে স্ট্রাইকার করে দিলেন মলিনা? কেন বেঞ্চে বসেই গোটা ৯০ মিনিট কাটাতে হল দিমিত্রি পেত্রাতোসকে? যেখানে ৬ বিদেশি খেলানো যায়, সেখানে কী কারণে ৩ জন বিদেশীকে শুরুতে নামালেন মলিনা? পরে পাঁচ বিদেশিকে নামালেও পেত্রাতোসের জায়গা হয়নি। রবসন রবিনহো মাঠে নামলেও, তাঁর ফিটনেস নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই।
সমালোচনার জবাব মলিনার
যদিও মাঠের বাইরের সমালোচনা গায়ে মাখতে নারাজ বাগান কোচ। তাঁর প্রবল বিশ্বাস ইরানে গিয়ে আবারও নতুন সূর্যোদয় হবে। মঙ্গলবার ম্যাচ শেষে হোসে মলিনা বলেন, 'এই ধরনের প্রতিযোগিতায় যে কোনও ম্যাচই কঠিন। আমরা অনেক সুযোগ তৈরি করেছি। কিন্তু গোল করতে পারিনি এটা আমাদের দুর্ভাগ্য।' আনফিট রবসনকে মাঠে নামিয়ে, দিমিত্রিকে রিজার্ভ বেঞ্চে বসিয়ে রাখার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেও সরব হচ্ছে বাগান জনতা। প্রথম একাদশ নির্বাচনের প্রসঙ্গে মোলিনার সহজ উত্তর, 'আমার কাছে যারা সেরা ফুটবলার, যারা দলকে সাহায্য করতে পারবে আমি তাদের নিয়েই দল গঠন করেছি।'
আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর সেপাহান এফসির বিরুদ্ধে এসিএল দুই-এর দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে মোহনবাগান। লড়াই কঠিন হলেও, ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড।