অলিম্পিকের (Paris Olympic 2024) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ফরাসি প্রেসি়ডেন্ট এবং দেশের ক্রীড়ামন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ আলিঙ্গন এবং চুম্বন এখন চর্চার বিষয়। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে অনেকের কাছেই প্রেসিডেন্ট এবং মন্ত্রীর এই আচরণ দৃষ্টিকটূ বলে মনে হয়েছে৷ অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় কটাক্ষ করে বলেছেন, দু'জনের আচরণ দেখে মনে হচ্ছিল তাঁরা যেন প্রেমিক প্রেমিকা৷
ভাইরাল হওয়া ওই ছবিতে দেখা গিয়েছে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ৪৬ বছরের এমানুয়েল ম্যাকরন (Emmanuel Macron) অলিম্পিক্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মঞ্চে দেশের ক্রীড়ামন্ত্রী আমেলি ওয়েদিয়া-কাস্টেরাকে (Amelie Oudea-Castera) ঘনিষ্ঠ ভাবে জড়িয়ে ধরেছেন৷ তার পাল্টা ফ্রান্সের মহিলা ক্রীড়ামন্ত্রী আবার ম্যাকরনের গলার কাছে গভীর চুম্বন করছেন৷
সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলের বন্যা
প্রেসিডেন্ট এবং ক্রীড়ামন্ত্রী যখন এই ঘটনা ঘটাচ্ছেন, তখন মঞ্চের উপরেই দাঁড়িয়ে ছিলেন ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী গ্যাব্রিয়েল অট্টল৷ তবে তিনি তখন অন্যদিকে তাকিয়ে ছিলেন৷ ফরাসি প্রেসিডেন্ট এবং তাঁর মহিলা ক্রীড়ামন্ত্রীর এই কীর্তিই এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ ফ্রান্সেই এ নিয়ে তুমুল শোরগোল শুরু হয়েছে৷ অলিম্পিক্সের মতো মঞ্চে গোটা বিশ্বের সামনে দেশের মুখ পোড়ানোর অভিযোগে সরবও হয়েছেন অনেকে৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন লিখেছেন, ‘গ্যাব্রিয়েল অট্টল অন্যদিকে তাকিয়ে থাকার ভান করছেন৷ উনি বুঝতেই পারছেন না কোথায় দাঁড়াবেন৷’ আর একজন লিখেছেন, ‘এ ভাবে আমার প্রেমিক আমাকে জড়িয়ে ধরে, লজ্জাজনক!’ আরও একজন কমেন্ট করেছেন, 'ম্যাকরনের স্ত্রী নিশ্চয়ই এটা ভালভাবে দেখছেন না।'
এক্স হ্যান্ডেলে আর একজন লিখেছেন, ‘এই ছবি খুবই অশোভনীয়, এই আচরণ দেশের প্রেসিডেন্ট এবং ক্রীড়ামন্ত্রীকে মানায় না৷’ একটি ফরাসি ম্যাগাজিনে প্রথম ম্যাকরন এবং আমেলি ওয়েদিয়া-কাস্টেরার এই বিতর্কিত ছবি প্রকাশিত হয়৷ যেভাবে দেশের মহিলা ক্রীড়ামন্ত্রী প্রেসিডেন্ট ম্যাকরনকে চুমু খেয়েছেন, তাকে অদ্ভূত বলে উল্লেখ করা হয়েছে ওই ম্যাগাজিনে৷ সেখানে আরও দাবি করা হয়েছে, ফ্রান্সের ক্রীড়ামন্ত্রী আসলে প্রচারের আলোয় থাকতে ভালবাসেন৷ সেই কারণেই এমন সব কাণ্ড ঘটান তিনি৷