কুস্তিতে ভারত এবারের অলিম্পিকে খুব ভাল পারফর্ম করতে পারেনি। আর সে কারণে এবার কুস্তিগীরদেরই কাঠগড়ায় তুললেন বিশ্ব রেসলিং ফেডারেশনের কর্তা। ছয় জনের মধ্যে কেবল একজনই জিতেছেন পদক। ৫৭ কেজি বিভাগে আমান শেরাওয়াত ব্রোঞ্জ জিতেছেন। আর ভিনেশ ফোগাটের মামলা এখনও বিচারাধীন। তবে এত কম পদক এল কেন? সঞ্জয় মনে করেন, আন্দোলন করার কারণেই পদক জিততে পারেননি কুস্তিগীররা।
ইন্ডিয়া টুডেকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, '১৪-১৫ মাস ধরে যে প্রতিবাদ হয়েছিল, তাতে সমগ্র কুস্তিগীররা বিরক্ত হয়েছিল। এর জেরে কুস্তিগীররা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট ছাড়া ঘরোয়া োনও টুর্নামেন্ট খেলতে পারেননি। আর সেই কারণেই কুস্তিগীররা ভাল পারফর্ম করতে পারেনি।'
কী কারণে প্রতিবাদে নেমেছিলেন কুস্তিগীররা?
ভিনেশ ফোগাট, বজরং পুনিয়া এবং সাক্ষী মালিকরা তৎকালীন কুস্তি ফেডারেশনের প্রধান ব্রিজভূষণ শরন সিং-এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদের অংশ নিয়েছিলেন। বিজেপি নেতা ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে শুরু হয়েছিল এই প্রতিবাদ। বিরাট চাপের মুখে পড়ে ব্রিজভূষনকে সরানো হয়। তবে তার জায়গায় ব্রিজভূষণ ঘনিস্ট সঞ্জয় সিং-কেই দায়িত্ব দেওয়া হয়। আর এঁর প্রতিবাদেই ২০২২ টোকিও অলিম্পিকে ভারতের পদকজয়ী একমাত্র রেসলার সাক্ষী মালিক অবসর নিয়ে নেন।
ভিনেশ ফোগাট এবারের প্যারিস অলিম্পিকে অংশ নিয়ে ফাইনালে উঠে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর ভাগ্য ঝুলে আছে কোর্ট অফ আরবিট্রারি ফর স্পোর্টসের উপর। ৫০ কেজি থেকে তাঁর ওজন ১০০ গ্রাম বেড়ে যাওয়ায় ফাইনাল ম্যাচের আগেই তাঁকে বহিস্কার করা হয়। ২৯ বছর বয়সী প্রথম ভারতীয় মহিলা কুস্তিগীর অলিম্পিক ফাইনালের যোগ্যতা অর্জন করেন। কিন্তু সেই পদকও এখনও অধরা তাঁর। গোটা দেশ ভিনেশের পাশে এসে দাঁড়ালেও তাঁর রুপোর পদক পাওয়া নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত এখনও জানাতে পারেনি কোর্ট অফ আরবিট্রারি ফর স্পোর্ট (CAS)৷