
যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে লিওনেল মেসির অনুষ্ঠানে বিশৃঙ্খলার ঘটনার তদন্তে বড়সড় অগ্রগতি হয়েছে। গঠিত হয়েছে SIT। শোকজ হয়েছেন রাজ্য পুলিশের DG রাজীব কুমার, সাসপেন্ড হয়েছেন বিধাননগরের পুলিশ কর্তা। সর্বোপরি ক্রীড়ামন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন অরূপ বিশ্বাস। এই নিয়ে এবার মুখ খুললেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, 'ঝুঁকতা ওহি হ্যায়, জিসমে জান হ্যায়...।' ঠিক কী বোঝাতে চেয়েছেন তিনি?
ব্যক্তিগত কাজে দেশের বাইরে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সে সময়েই তাঁর রাজ্যে ঘটে গিয়েছে যুবভারতীকাণ্ড। দেশে ফিরে এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তৃণমূলের সর্বভারতী সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে যা হয়েছে তার এক ঘণ্টার মধ্যে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী ক্ষমা চেয়েছেন। ইতিমধ্যেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে পুলিশকর্তা থেকে শুরু করে মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে। তারপরও আমাদের কেন বারবার প্রশ্নের মুখে দাঁড়াতে হচ্ছে?' এরপরই কুম্ভমেলার প্রসঙ্গ টানেন অভিষেক। তাঁর কথায়, 'চলতি বছর কুম্ভ মেলায় যখন বহু মানুষের মৃত্যু হয়, তখন তো কেউ প্রশ্নের মুখে দাঁড় করায়নি প্রধানমন্ত্রী বা যোগী আদিত্যনাথকে? গত ১৫ ফেব্রুয়ারি দিল্লি স্টেশনে পদপিষ্টের ঘটনায় অনেকের মৃত্যু হয়েছে। সেই নিয়ে কোনও প্রশ্ন উঠেছে? এই ঘটনায় কোনও BJP নেতাকে একটি প্রশ্নেরও সম্মুখীন হতে হয়েছে? কোনও তদন্তও হয়েনি। কাউকে গ্রেফতারও করা হয়নি। এমনকী, ক্ষমাও চাওয়া হয়নি।'
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আরও প্রশ্ন, 'যুবভারতীর বিশৃঙ্খলার এক ঘণ্টার মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাধারণ জনগণের কাছে ক্ষমা চান। তিনি তাঁর দায়িত্ব থেকে পিছু হটেননি। এর পরেও কেন এত প্রশ্ন উঠছে?'
উল্লেখ্য, যুবভারতীকাণ্ডে অনুসন্ধান কমিটি গঠন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। সেই কমিটি সোমবার রাতে নবান্নে প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ করে। পরের দিনই যুবভারতীকাণ্ডে রাজ্য পুলিশের সর্বোচ্চ কর্তা DGP রাজীব কুমারকে শোকজ করেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার মুকেশ কুমারকেও শোকজ করা হয়েছে। সাসপেন্ড হয়েছেন DC অনীশ সরকার। তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ক্রীড়া ও যুব বিষয়ক দফতরের প্রধান সচিব রাজেশ কুমার সিংকেও শোকজ করা হয়েছে। মিটির সুপারিশ মেনে এই ঘটনার তদন্তের জন্য SIT গঠন করা হয়েছে। সর্বোপরি ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস পদত্যাগ করেছেন।