AFC Qualifier India Wins Over Afghanistan কলকাতায় যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে (Yubabharati Krirangan) এশিয়ান কাপ (AFC) ২০২৩ এর বাছাই পর্বে প্রথম ম্যাচে ভারত (India), আফগানিস্তানকে (Afghanistan) ২-১ গোলে হারিয়ে যাত্রা শুরু করল। অন্যদিকে কম্বোডিয়াকে (Combodia) হারিয়ে দিয়েছে হংকংও (Hongkong)। তারা ৩-০ গোলে কম্বোডিয়াকে হারায়। ভারতও এর আগে কম্বোডিয়াকে হারিয়ে দিয়েছে। ফলে শেষ ম্যাচে হংকংয়ের কাছে হারলেও ভারতের মূলপর্বে খেলার সুযোগ থাকবে। তবে জিতলে কোনও প্রশ্ন থাকবে না। সরাসরি খেলবে তারা।
গ্রুপের শীর্ষে ভারত
কম্বোডিয়াকে আগেই ২-০ গোলে হারিয়ে দেওয়ার পর আপাতত গ্রুপে ভারতই সবার ওপরে। শনিবার ভারতের আগেই মাঠে নামবে হংকং ও কম্বোডিয়া। হংকং তাদের দ্বিতীয় ম্যাচেও জিতে যাওয়ায় ভারতের পক্ষে মূলপর্বে ওঠার জন্য জয় দরকার ছিল। এখন আফগানিস্তান ও কম্বোডিয়ার এবারের মতো মূলপর্বের অভিযান শেষ হয়ে গিয়েছে। এখন দেখার এই গ্রুপ থেকে কারা যায়।
আফগানিস্তান ফিফা ক্রমতালিকায় ভারতের চেয়ে অনেক নীচে (১৫০) থাকলেও মাঠে নামলে আফগানরা সব সময় লড়াই ফিরিয়ে দেন। তা ক্রিকেট হোক কিংবা ফুটবল। তাই এএফসি কোয়ালিফায়ারে ২-১ গোলে হারিয়ে নিজেদের জয় স্বস্তি দেবে মেন ইন ব্লুজদের (Men In Blues)।
চার বছর পর সাফল্য বজায় রাখার পরীক্ষা
শুক্রবারই ভারতের কোচ ইগর স্টিমাচ (Igor Stimach) বলে দিয়েছিলেন, “শনিবার আফগানিস্তানকে হারাতে না পারলে, প্রথম ম্যাচে জয়টাও অর্থহীন হয়ে যাবে”। তাই এই ম্যাচে ভারতীয় দল জয় ছাড়া আর কিছু ভাবছেই না। কিন্তু ভারতীয় শিবিরের চিন্তা, মরিয়া আফগানিস্তান না তাদের শারীরিক সক্ষমতার বাড়তি সুবিধা নিয়ে ভারতীয় ফুটবলারদের ক্ষতি করে ফেলেন। ফলে বোঝাই যাচ্ছে জয়টা কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ড্র বা হার ভারতকে খাদের কিনারায় দাঁড় করিয়ে দিতে পারত। এখন হংকংয়ের সঙ্গে অনেকটা খোলা মনে খেলতে পারবে ইগর স্টিমাচের ছেলেরা।
ভারত-আফগানিস্তানের মুখোমুখি লড়াইয়ের পরিসংখ্যান
এখনও পর্যন্ত দুই দল মুখোমুখি হয়েছে ১০ বার। বেশির ভাগই সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে। ২০১৮-র পর থেকে আফগানিস্তান এই টুর্নামেন্টে খেলা বন্ধ করে দিয়েছে। ভারত জিতেছে ৭ বার ও আফগানিস্তান ১ বার এবং ড্র হয়েছে বাকি ৩ বার। দু’বার ৪-০ গোলে আফগানদের হারিয়েছে ভারত। ২০০৩ এবং ২০১১-র সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে।
এদিনের ম্যাচ রিভিউ
শুরু থেকে একের পর এক আক্রমণ, সংবদ্ধ পাসিং, গতি, ড্রিবল সবই ছিল। শুধু নিখুঁত ফিনিশের অভাবে গোল মিলছিল না। গোল পেতে ম্যাচের শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। ম্যাচের পর সুনীল ছেত্রীর (Sunil Chettri) স্বস্তি পুরো কাহিনী বলে দিচ্ছিল। ম্যাচের ৮৫ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে অনবদ্য একটি ফ্রি-কিকে আফগান জালে বল জড়িয়ে দেন ভারত অধিনায়ক। আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে এটি সুনীলের ৮৩তম গোল। কিন্তু এক মিনিটের মধ্যেই গোল শোধ করে দেয় আফগানিস্তান। খেলার ফল দাঁড়ায় ১-১। শেষ হওয়ার কয়েক মিনিট আগে ভারতের জয়সূচক গোল করেন আব্দুল সামাদ (Sahal Abdul Samad)।