কেরল ব্লাস্টার্সের (Kerala Blasters) আবেদন নাকচ করে দিল সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন (AIFF)। গত মার্চ মাসে আইএসএলের (ISL) নকআউট পর্বের ম্যালচে বেঙ্গালুরু এফসির (Bengaluru FC) বিরুদ্ধে ফ্রিকিক থেকে গোল করেন সুনীল ছেত্রী (Sunil Chhetri)। সেই গোল বৈধ বলে ঘোষণা করেন রেফারি। এই সিদ্ধান্ত মানতে না পেরে দল তুলে নেয় কেরল।
এরপর আর নামেননি কেরল ফুটবলাররা। এই ঘটনার পরে কেরলকে ৪ কোটি টাকা জরিমানা করে সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থার শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি। এছাড়াও কেরল কোচ ইভানকে আলাদা করে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা ও ১০ ম্যাচের জন্য নির্বাসিত করা হয়। সেই শাস্তি কমানোর আবেদন করেছিল কেরল। কিন্তু তাদের আবেদন নাকচ করে দিল এআইএফএফ। বেঙ্গালুরু স্ট্রাইকার সুনীল ছেত্রী রেফারির বাঁশি দেওয়ার আগেই গোলে শট করেন। ওয়াল তৈরি করতে ব্যস্ত থাকায় প্রস্তুত ছিলেন না কেরল গোলরক্ষকও। ফলে সুনীলের শট সোজা গোলে ঢুকে যায়। সাধারণভাবে এমন ঘটনা ঘটলে আবারও ফ্রিকিক নেওয়ার নির্দেশ দেন রেফারি। তবে এ ক্ষেত্রে তা হয়নি। সেই জন্যই প্রতিবাদ জানাতে থাকেন কেরল ফুটবলাররা। শেষ পর্যন্ত দলই তুলে নেয় কেরল।
কেরালার আবেদন নিয়ে এআইএফএফ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘কেরালা ব্লাস্টার্সের আবেদন মানার কোনও কারণ নেই। তারা যা করেছে সেটা ফুটবলের অপমান। সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থার নিয়ম ভাঙা হয়েছে। তাই জরিমানা তাদের দিতে হবে।‘ পাশাপাশি এও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ‘দু’সপ্তাহের মধ্যে কেরলকে জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।‘
ম্যাচ অমিমাংসিত ভাবে শেষ হওয়ার পর, বেঙ্গালুরুকেই জয়ী বলে ঘোষণা করে দেওয়া হয়। যদিও সুনীলদের আইএসএল জেতা হয়নি। ফাইনালে টাইব্রেকারে মোহনবাগানের কাছে হারতে হয় বেঙ্গালুরুকে। এই ঘটনার পর, গোটা কেরল জুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়ে যায়। এমনকি সুনীল ছেত্রীর কুশপুতুলও পোড়ান হয়। এর জেরে ক্ষোভ প্রাকাশ করেন সুনীলের স্ত্রী সোনাম ভট্টাচার্যও।