আনোয়ার আলি (Anwar Ali) ইস্যুতে এবার দিল্লি হাইকোর্টে (Delhi High Court) মামলা করল ইমামি ইস্টবেঙ্গল (Emami East Bengal)। প্লেয়ার স্টেটাস কমিটির সিদ্ধান্ত জানার আগেই, ফিফায় (FIFA) যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন লাল-হলুদ কর্তারা। তবে তা না করে হাইকোর্টে গেল ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। ইতিমধ্যেই দিল্লি হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেছে লাল-হলুদ শিবির। আনোয়ারের পাশাপাশি ইস্টবেঙ্গলকেও যে শাস্তি দিয়েছে ফেডারেশন, সেই সিদ্ধান্তে আপাতত স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। ইস্টবেঙ্গলের পাশাপাশি উচ্চ আদালতে আবেদন করেছে দিল্লি এফসিও। সাসপেন্ড হওয়া তারকা ফুটবলারও আবেদন করেছেন দিল্লি হাইকোর্টে। এ নিয়েই পাল্টা দিল মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট (Mohun Bagan Super Giant)
কী কী শাস্তির কথা জানিয়েছে AIFF?
আনোয়ার আলিকে চার মাসের জন্য নির্বাসন এবং ইস্টবেঙ্গল ও দিল্লি এফসিকে দুটো ট্রান্সফার উইন্ডোতে ফুটবলার নেওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এছাড়াও আনোয়ার,ইস্টবেঙ্গল এবং দিল্লি এফসির ওপর মোট বারো কোটি নব্বই লক্ষ টাকা আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে। ইস্টবেঙ্গল আগে জানিয়েছিল তাদের বিষয়টি আইনজীবী দেখছে এবং তারা আপিল করবে। সেইমত দেবব্রত সরকার জানান আপিল করার বিষয়টি নিয়ে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকে জানানো হয়েছে।
কী দাবি ইস্টবেঙ্গলের
আনোয়ারকে পাঁচ বছরের জন্য চুক্তি করিয়ে তারা কোনও নিয়ম ভাঙেননি বলে দাবি করা হয়েছে। কারন ফ্রি প্লেয়ার হিসেবে ইস্টবেঙ্গল আনোয়ারকে সই করিয়েছিল। মোহনবাগান সুপারজায়ান্টের সঙ্গে চার বছরের লোনের চুক্তি খারিজ করে আনোয়ার ফিরে গিয়েছিলেন পুরানো ক্লাব দিল্লি এফসিতে। সেই সময় আনোয়ার লোনে নয় দীর্ঘ মেয়াদী চুক্তি চেয়েছিলেন সুপারজায়ান্ট ম্যানেজমেন্টের কাছ থেকে। তার সেই অনুরোধে সুপারজায়ান্ট সেভাবে কর্নপাত করেছিল না। তখনই চুক্তি ভেঙে পছন্দ মত ক্লাবে যাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করে ফেডারেশনের প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটির দ্বারস্থ হয়েছিল সে। এবং পছন্দমত ক্লাবে খেলার অনুমতি পেয়েছিল। তারপরেই ইস্টবেঙ্গলে সই করেন আনোয়ার।
ফেডারেশনের কাছে কড়া শাস্তির দাবি মোহনবাগানের
মোহনবাগান শিবিরের দাবি, ইস্টবেঙ্গল, আনোয়ার ও দিল্লি এফসি যা করেছে তা এএফসি ও ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের নিয়ম বিরুদ্ধ। এভাবে আদালতে যাওয়া যায় না। তাই এই তিন পক্ষকেই আরও বড় শাস্তি দেওয়া হোক।