এশিয়া কাপে আজ মহারণ। গ্রুপ পর্বের ম্যাচে মুখোমুখি ভারত ও পাকিস্তান। দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচের সমস্ত টিকিট ইতিমধ্যেই বিক্রি হয়ে গিয়েছে। পাহেলগাঁও হামলা ও অপারেশন সিঁদুরের পর এটাই ভারত-পাকিস্তানের প্রথম ম্যাচ। ফলে সকলের নজর থাকবে এই ম্যাচের দিকে। তাই, ভারত-পাক ম্যাচে দুই দলে কারা থাকবেন তা নিয়েও শুরু হয়েছে জল্পনা।
এই ম্যাচে ভারতের স্ট্র্যাটেজি কী?
প্রসঙ্গত, টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব পুরনো কৌশল অবলম্বন করতে চলেছেন। রোহিত শর্মার আমল থেকেই চলে আসা এই পুরনো কৌশল অনুযায়ী, ভারতীয় দল কোনও বড় টুর্নামেন্টে তাদের প্লেয়িং ১১-এ খুব একটা পরিবর্তন আনে না। ২০২৩ সালের বিশ্বকাপে, ভারতীয় দল প্রথমে শার্দুল ঠাকুরকে নিয়ে আসে, যখন তিনি ব্যর্থ হন, তখন মহম্মদ শামিকে সুযোগ দেওয়া হয়। ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও, টিম ইন্ডিয়ার প্লেয়িং ১১-তে খুব বেশি বদল হয়নি। একই চিত্র দেখা গিয়েছে, ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও। ভারতীয় দল খুব বেশি পরিবর্তন করেনি। তবে যদি কোনও খেলোয়াড় চোট পান তাহলে সেটা একেবারেই আলাদা ব্যাপার।
অর্থাৎ, এটা নিশ্চিত যে ১০ সেপ্টেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বিপক্ষে খেলা একই ভারতীয় দল পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলবে। সঞ্জ স্যামসনকে ৩ নম্বরে না ৫ নম্বরে খেলানো হবে তা নিয়ে আলোচনা চলছে। স্যামসন এখনও পর্যন্ত ওপেনিং পজিশনে সেরা পারফর্ম করেছেন, এবার দলের প্রয়োজন অনুসারে তিনি মিডল অর্ডারে খেলতে প্রস্তুত। ভারতীয় ব্যাটিং কোচ সিতাশু কোটাক নিজেই এই কথা বলেছিলেন।
এশিয়া কাপে পাকিস্তান দল তাদের প্রথম ম্যাচে ওমানকে হারিয়েছিল। পাকিস্তানের ক্যাপ্টেন সালমান আগা নিজেই তাঁর দলের ব্যাটারদের উপর ক্ষুব্ধ ছিলেন। আগা তাঁর দলের ব্যাটিং উন্নত করার কথাও বলেছিলেন। পাকিস্তান দলের দিকে তাকালে, হারিস রউফ অথবা সালমান মির্জাকে বিশেষজ্ঞ পেসার হিসেবে দলে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এমন পরিস্থিতিতে হাসান নওয়াজ অথবা ফাহিম আশরাফের মধ্যে একজনকে বাদ দেওয়া হবে।
টস খুবই গুরুত্বপূর্ণ
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই মাঠে ভারতীয় দল যে ১০টি টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে, তার মধ্যে ৪টিতে টস জিতেছে এবং ম্যাচও জিতেছে। এর অর্থ হল, এই মাঠে যখনই ভারতীয় দল কোনও টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে টস জিতেছে, তখনই তারা ম্যাচটিও জিতেছে।
এই মাঠে খেলা বাকি ৬টি টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে ভারতীয় দল টস জিততে পারেনি। এই সময়ের মধ্যে, টস হেরে গেলেও, তারা ২টি ম্যাচে জয়লাভ করে, এবং চারটিতে পরাজয়ের সম্মুখীন হয়। তবে, এই মাঠে খেলা ৯৫টি টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে, টস জিতেছে এমন দল ৫৫ বার জয়লাভ করে। যেখানে ৪০টি ম্যাচে টস হেরেছে এমন দল জয়লাভকরে।