হুগো বুমোস (Hugo Boumous) না থাকলেই দলটা যে বিপদে পড়ে তা আরও একবার প্রমাণিত। দশ নম্বরে থাকা জামসেদপুর এফসি-র (Jamshedpur FC) বিরুদ্ধেও তাই ১ পয়েন্ট নিয়েই কলকাতায় ফিরতে হচ্ছে এটিকে মোহনবাগানকে (ATK Mohun Bagan)। কী রণকৌশল নিয়ে ড্যানিয়েল চিমা চুকুদের (Daniel Chima Chukwu) বিরুদ্ধে দলকে নামিয়েছিলেন জুয়ান ফেরান্দো (Juan Ferrando) তা বোধহয় তিনি নিজেই বলতে পারবেন। বারে বারে সুযোগ তৈরি করেছে দুই দল। গোল খেয়ে গেলে বলার কিছু ছিল না। কারণ গোল খেয়ে গেলে তা শোধ করার কেউ নেই এই সবুজ-মেরুন দলে।
ড্যানিয়েল চিমা চুকুর অবস্থা যে ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal) থেকে উন্নতি হয়নি তা আরও একবার প্রমাণিত। গোটা ম্যাচে বারেবারে আক্রমণ করে গেলেও গোল পাননি চিমা। গোল করতে পারেননি মনবীর সিং, লিস্টন কোলাসো, দিমিত্রি পেত্রাতোসরা। মনবীর সিং যেন পার্কে হেঁটে বেড়ালেন। লিস্টন এলেও আত্মবিশ্বাসের অভাব স্পষ্ট। সহজ সুযোগ পেয়েও বল নষ্ট করেছেন তিনি। খেলার সুযোগ পেলেও নিজেকে মেলে ধরতে ব্যর্থ ফরদিন আলি মোল্লা ও কিয়ান নাসিরি।
যদিও গ্লেন মার্টিন্সের পাশে থাকা কার্ল ম্যাকহিউকে হঠাৎ তুলে নেওয়ায় মোহনবাগানের মাঝমাঠের ভারসাম্য নষ্ট হয়। ফ্রেডরিকো গালেগোর খেলা দেখেও মনে হয়নি তিনি ম্যাচের মধ্যে রয়েছেন। মাঝে মধ্যে অধিনায়ক প্রীতম কোটাল কিছুটা চেষ্টা চালালেও তা থেকে ফল পাওয়া যায়নি।
ম্যাচের শেষদিকে নিশ্চিত পেনাল্টি থেকে বঞ্চিত হয়েছে জামসেদপুর। আগের লেগেও ঠিক এমনটাই হয়েছিল। শেষদিকে পিটার হার্টলেকে ফাউল করে জামসেদপুরকে পেনাল্টি উপহার দিয়ে দিয়েছিল এটিকে মোহনবাগান। এদিনও ঠিক এমনটাই হতে পারত। দারুণ সেভ করে মোহনবগানকে লড়াইয়ে রাখেন বিশাল কায়েত। তিনি না থাকলে অন্তত চার গোলে জিততে পারত জামসেদপুর। তবে ভাল খেলেছেন জামসেদপুরের বাঙালি ফুটবলার ঋতিক দাস। বেশ কয়েকবার গোলের কাছাকাছি চলে এলেও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি জামসেদপুর।