টেস্ট ক্রিকেট থেকে বিদায় নিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। শেষ ইনিংসে তাঁর ব্যাট থেকে এল অর্ধশতরান। সেই সঙ্গে ম্যাচও জিতল অজিরা। ১৩০ রান তাড়া করতে নেমে পাকিস্তানকে ৮ উইকেটে হারাল অস্ট্রেলিয়া। ৫৭ রানের দ্রুত ইনিংস খেলেন ওয়ার্নার। চলতি সিরিজে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করলেন প্যাট কামিন্সরা। ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতলেন তাঁরা।
সিডনিতে শেষ টেস্ট খেলে অবসর নিতে চেয়েছিলেন ওয়ার্নার। শনিবার শেষ ইনিংসেও দলকে জেতালেন। সাজিদ খানের বলে এলবিডব্লিউ না হলে অপরাজিতই থাকতেন শেষ ইনিংসে। সেই সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে জয় অধরাই থাকল পাকিস্তানের। সেই ১৯৯৫ সাল থেকে তারা একটি টেস্ট ম্যাচও জিততে পারেনি অজিদের দেশে। ওয়াসিম আক্রমের নেতৃত্বে ১৯৯৫ সালে সিডনিতে শেষ টেস্ট জিতেছিল। ১৯৯৫ সালের পর ষষ্ঠবার অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হল পাকিস্তান।
এর আগে পার্থে প্রথম টেস্ট এবং মেলবোর্নে দ্বিতীয় টেস্টেও লজ্জাজনকভাবে হেরেছিল পাকিস্তান। সিডনিতে তৃতীয় ম্যাচে পাকিস্তানের অবস্থা তুলনামূলক ভালো ছিল কারণ পাকিস্তান প্রথম ইনিংসে ৩১৩ রান করেছিল। এরপর অস্ট্রেলিয়া দল ২৯৯ রানে অলআউট হয়। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে সুবিধে করতে পারেনি পাকিস্তান। ১১৫ রানে গুটিয়ে যায়। ফলে খুব সহজ লক্ষ্য পায় অস্ট্রেলিয়া দল। প্রথম ওভারে উসমান খাজাকে আউট করে প্রাথমিক ধাক্কা দেয় সাজিদ খান। কিন্তু দ্বিতীয় উইকেটে ওয়ার্নার ও মারনাস লাবুসচেনের সেঞ্চুরি জুটি সৌজন্যে দ্রুত শেষ হয়ে যায় পাকিস্তানের আশা। ওয়ার্নার ও লাবুসচেন মিলে ১১৯ রান যোগ করেন। এটা টেস্টে তাদের সপ্তম শতরানের জুটি। লক্ষ্য ছোঁয়ার ১১ রান আগে আউট হন ওয়ার্নার। তবে তার আগেই টেস্টে ৬৩ তম অর্ধশতরান তুলে নেন ওয়ার্নার।
একদিনের ক্রিকেট থেকেও অবসরের ঘোষণা করেছেন ডেভিড ওয়ার্নার। তবে তিনি এও বলেছেন, দলের যদি তাঁকে প্রয়োজন পড়লে এই ফর্ম্যাটে খেলবেন। ১১২ টেস্টে ৮৭৮৬ রান করেছেন ওয়ার্নার। তাঁর গড় ৪৪.৫৯ এবং স্ট্রাইক রেট ৭০.১৯। ২৬টি সেঞ্চুরি এবং ৩৭টি হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে ওয়ার্নারের ঝুলিতে। ১৬১টি ওয়ানডেতে ৪৫.৩০ গড়ে ৬৯৩২ রান করেছেন ওয়ার্নার। স্ট্রাইক রেটে ৯৭.২৬। ২২টি সেঞ্চুরি এবং ৩৩টি হাফ সেঞ্চুরি আছে তাঁর। ওয়ার্নার টি-টোয়েন্টিতে ৯৯ ম্যাচে ৩২.৮৮ গড়ে ২৮৯৪ রান করেছেন। স্ট্রাইক রেট ১৪১.৩০।