ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালে দারুণ জায়গায় বাংলা। প্রথম দিনের শেষে ৩১০ রানে ১ উইকেট হারিয়েছিল বাংলা। শতরান করেন সুদীপ ঘরামি। দ্বিতীয় দিনেও সেঞ্চুরি করেন অপর ব্যাটার অনুষ্টুপ মজুমদার। লাঞ্চের আগেই মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে ৩৫০ রান পেরিয়ে যায় বাংলা।
অনুষ্টুপ দীর্ঘদিন ধরেই বাংলা দলের খেলছেন। তরুণ সুদীপকে সঙ্গে নিয়ে দারুণ পার্টনারশিপ গড়ে তুলেছেন তিনি। অধিনায়ক অভিমন্যু আউট হওয়ার পরও ঝাড়খণ্ড বোলারদের কোনও সুযোগ দেননি দুই ব্যাটার। ইনিংসের ৯৮তম ওভারে ৯৫ রানে ব্যাট করছিলেন বাংলা দলের অভিজ্ঞ ব্যাটার অনুষ্টুপ। আশিস কুমারের তৃতীয় ও চতুর্থ বলে দুটি পরপর চার মেরে শতরান করেন অনুষ্টুপ। ১৭১ বলে ১০৩ রান করে ফেলেন তিনি। এখন ১৮৩ বলে ১১২ রান করে অপরাজিত রয়েছেন অনুষ্টুপ। একটাও ছক্কা মারেননি তিনি। তবে ১৬টা বাউন্ডারি এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে। এটা তাঁর কেরিয়ারে দশম সেঞ্চুরি। ৩৮ বছর বয়সী বাংলার এই ব্যাটারের ব্যাটিং মুগ্ধ করছে অনেককেই। শেষে ১৯৪ বলে ১১৭ রান করে শাহাবাজ নাদিমের বলে প্রথম স্লিপে ক্যাচ দিয়ে আউট হন অনুষ্টুপ।
আরও পড়ুন: ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দিনে নামতে পারেন চোট পাওয়া অভিষেক
আরও পড়ুন: সেঞ্চুরি সুদীপের, রঞ্জির কোয়ার্টার ফাইনালে রানের পাহাড়ে বাংলা
২৪৩ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তুলেছেন বাংলার দুই ব্যাটার। অনুষ্টুপের সঙ্গে থাকা তরুণ ক্রিকেটার সুদীপ ২৫৮ বলে ১৩০ রান করেছেন। তবে কত রান করে বাংলা ঝাড়খণ্ডকে ব্যাট করতে ডাকবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে যে ভাবে ব্যাট করছেন বাংলার ব্যাটাররা তাতে রান ৫০০ পেরতেই পারে। এই মরশুমে কোয়ার্টার ফাইনালের আগে রঞ্জিতে একমাত্র সেঞ্চুরি ছিল অভিমন্যুর। আর কোয়ার্টার ফাইনালে এসেই প্রথম ইনিংসে দুই ব্যাটার সেঞ্চুরি করে ফেললেন। এটা নিঃসন্দেহে খুব খুশি করবে বাংলা দলের কোচ অরুণ লাল ও দলের অন্য সদস্যদের।