ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনে (AIFF) আর কোন ভূমিকা থাকল না আদালত নিযুক্ত তিন সদস্যের প্রশাসক কমিটির (COA)। সোমবার সকালে সুপ্রিম কোর্টে এআইএফএফ মামলার শুনানি ছিল। সেই শুনানির পর সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয় ৩ সদস্যের সিওএ-র জায়গায় ফিফার আধিকারিকদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলবে কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রক। ফিফাও এমনটাই চেয়েছিল। নির্বাসনের চিঠিতে স্পষ্টকরে তারা জানিয়েছিল, ভারতের ক্রীড়ামন্ত্রকের সঙ্গেই কথাবার্তা বলবে তারা। নির্বাচন সংক্রান্ত সমস্ত সাহায্যের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল বিশ্ব ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা।
তবে নির্বাচনের পর নতুন কমিটিই ফুটবল ফেডারেশন চালাবে তখন আর তৃতীয় পক্ষের কোন ভূমিকা থাকবে না। এটাও ঠিক হয়েছে, ফেডারেশনের নয়া সংবিধান সংশোধন করে আদালতের কাছে জমা দিতে হবে। আদালত মান্যতা দিলে, তবেই তা ফিফায় যাবে। প্রশাসক কমিটির তরফ থেকে যে মনোনয়ন জমা দেওয়া হয়েছিল সেটাকেও বাতিল করে দিতে চলেছে সুপ্রিম কোর্ট। এদিন সিওএ-এর পক্ষের আইনজীবী আদালতে চক্রান্তের কথা জানান। তিনি বলেন, 'গত দুই বছরে সিওএ-এর কোনও কাজ নিয়ে প্রশ্ন তোলেনি ফিফা। সকলেই খসড়া সংবিধান মেনে নিয়েছিলেন। তবে পেছন থেকে কেউ ফিফার কাছে অভিযোগ জানিয়েছে।' যদিও তাতে কোনও কাজ হয়নি।
এর মাঝে আদালতে আবেদন করেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক ভাইচুং ভুটিয়া (Bhaichung Bhutia)। তাঁর দাবি ছিল, পুরনো খসড়া প্রস্তাবের মতই তাঁদের মনোনয়ন যেন গৃহীত হয়। তবে তা হবে কি না এখনও স্পষ্ট নয়। ভাইচুং তাঁর আবেদনে এও জানিয়েছেন, প্রাক্তন ফুটবলারদেরও কমিটিতে থাকা জরুরী।
ভারতীয় ফুটবলের উপর থেকে ফিফা নির্বাচন তোলার ব্যাপারে সক্রিয় হয়েছে কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রক মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর নিজেই উদ্যোগ নিয়ে ফিফার আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। কিছুদিন আগেই এফসি কাপে এটিকে মোহনবাগান (ATK Mohun Bagan) এবং গোকুলাম কেরল এফসি-র (Gokulam Kerala FC) মহিলা দলকে খেলতে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রক। আর এবার এআইএফএফ-এর নির্বাচনেও সক্রিয় ভূমিকায় দেখা যাবে অনুরাগকে।
দ্রুত নির্বাচন করে ভারতীয় ফুটবলকে ব্যানের হাত মুক্তি দিতে চাইছে সব পক্ষই। তবে কোন প্রক্রিয়ায় নির্বাচন হবে। কারা দাঁড়াতে পারবেন? পাশাপাশি নতুন সংবিধানে কী কী বদল আসবে তা এখনও ঠিক হয়নি।