ফের একবার ইস্টবেঙ্গলের ঘর ভাঙলো চেন্নাইয়িন এফসি। এবার মহম্মদ রফিককে তুলে নিলো তারা। রফিকের গোলেই প্রথমবার আইএসএল ট্রফি এসেছিল কলকাতায়। রফিকের শেষ মুহূর্তের হেড জয় এনে দেয় অ্যাটলেটিকো দি কলকাতাকে। দুই বছরের চুক্তিতে চেন্নাইয়িনে গেলেন রফিক। ৩১ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় ফুটবলের পরিচিত মুখ। আইএসএলে ১৫৩টি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে বাঙালি এই মিডফিল্ডারের। তবে শুধু মিডফিল্ডার হিসেবে নয় দরকারে মোট ন'টি পজিশনে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর।
এমন এক বাঙালি ফুটবলার কে সই করাতে পেরে দারুণ খুশি চেন্নাইয়িন এফসি কো ওনার ভিতা দানি। তিনি বলেন, "রফিককে চেন্নাইয়িনের নীল জার্সিতে দেখার জন্য মুখিয়ে রয়েছি। জাতীয় দলের হয়েও ও অনেক ম্যাচ খেলেছে। ২০১৪ সালে ওর গোলেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল কলকাতা। আমাদের দলে অনেক তরুণ ফুটবলার রয়েছে। রফিকের মত অভিজ্ঞ ফুটবলার আসায় তারা উপকৃত হবে বলেই আমারা আশাবাদী।''
এই মরশুমে একাধিক পজিশনে খেলতে পারে এমন ফুটবলারেদেরকেই টার্গেট করছে চেন্নাইয়িন। বেশ কয়েকজন বাঙালি ফুটবলারকে সই করিয়েছে তারা। আইএসএল-এ দুইবার চ্যাম্পিয়ন হলেও চেন্নাইয়েনের সাম্প্রতিক ফর্ম আহামরি কিছু নয়। তাই এই মরশুমে ফের নিজেদের হারান গৌরব ফিত=রিয়ে আনতে চাইছে দক্ষিণের এই ক্লাব।
আরও পড়ুন: 'অ্যাটিটিউড শোধরাও...' বিরাটকে 'সবক' আফ্রিদির
আরও পড়ুন: IPL-এ ভাল খেলার 'ইনাম', টিম ইন্ডিয়ায় ত্রিপাঠী ও সঞ্জু
রফিক ভারতের হয়ে ১২টি ম্যাচ খেলেছেন। যার মধ্যে দুটি ফ্রেন্ডলি ম্যাচও রয়েছে। আন্তর্জাতিক ফুটবলে একটি গোল ও একটি অ্যাসিস্ট রয়েছে তাঁর। ভারতীয় দলের হয়ে ২০১৮ সালে ইন্টার কন্টিনেন্টাল কাপ ও ২০১৭ সালে ত্রিদেশীয় সিরিজ জিতেছিলেন রফিক। শেষ দুই মরশুমে এসসি ইস্টবেঙ্গলের হয়ে ৩১টি ম্যাচ খেলেছেন রফিক। গত মিরশুমে গোল না পেলেও একটা অ্যাসিস্ট ছিল তাঁর।