FIDE World Cup Chess Tournament: চাঁদে যখন ভারত ইতিহাস গড়ছে, তখন পৃথিবীতে আরেকটি ইতিহাসের দোরগোড়ায় দেশ। দাবা বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতের গ্র্যান্ড মাস্টার রমেশবাবু প্রজ্ঞানন্দ কড়া টক্কর দিচ্ছেন দাবাড়ু ম্যাগনাস কার্লসেনকে। বিশ্বের এক নম্বর দাবাড়ু কার্লসেনকে রীতিমতো নাকানিচোবানি খাওয়াচ্ছেন ভারতের প্রজ্ঞানন্দ।
ইতিমধ্যেই দুটি গেম ড্র হয়েছে। এবার পালা টাইব্রেকারের। আজ অর্থাত্ বৃহস্পতিবার টাইব্রেকারেই নির্ধারণ হয়ে যাবে দাবায় বিশ্বচ্যাম্পিয়ন কে হবেন। প্রথম গেমে দুজনেই ৩৪টি করে চাল দিয়েছেন। কিন্তু ম্যাচ ড্র। দ্বিতীয় গেমে ৩০টি চাল হয়ে গিয়েছে। বিশ্বকাপ যে জিতবেন, ১০ হাজার মার্কিন ডলার পুরস্কার পাবেন।
দাবায় টাইব্রেকারের নিয়ম কী?
দাবা বিশ্বকাপের ফাইনালে দুটি গেম হয়েছে। দুটিই ড্র হয়েছে। তাই এবার টাইব্রেকারে জয় নির্ধারিত হবে।
-- টাইব্রেকারে ২৫-২৫ মিনিট করে দুটি গেম হবে। যদি এই গেমও ড্র হয়, তাহলে আরও ১০-১০ মিনিট করে গেম হবে।
-- যদি তাতেও কেউ চ্যাম্পিয়ন না হন, তাহলে আরও ৫-৫ মিনিট করে গেম খেলা হবে। সেখানেও ফয়সালা না হলে ৩-৩ মিনিট করে ম্যাচ হবে।
-- ভারতের প্রজ্ঞানন্দ ফাইনালে পৌঁছতেই ২০২৪ সালের ক্যান্ডিডেটস টুর্নামেন্টের জন্য কোয়ালিফাই করে ফেলেছেন।
-- ক্যান্ডিডেটস টুর্নামেন্ট ৮ জন প্লেয়ার থাকেন। যিনি জিতবেন, তিনি ২০২৪ সালে চিনের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ডিং লিরেনের মুখোমুখি হবেন। ওই ম্যাচে জিতলেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন।
সেমিফাইনালে ফ্যাবিয়ানোকে হারিয়েছেন প্রজ্ঞানন্দ
আজারবাইজানে সেমিফাইনালে বিশ্বের তিন নম্বর ফ্যাবিয়ানো কারুয়ানাকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছেন প্রজ্ঞানন্দ। ফাইনালে তাঁর প্রতিপক্ষ ম্যাগনাস কার্লসেন। বিশ্বনাথন আনন্দের পর দ্বিতীয় ভারতীয় হিসাবে দাবা বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছেন প্রজ্ঞানন্দ। ফ্যাবিয়ানোর বিরুদ্ধে প্রথম দুটি গেম ড্র হয়েছিল। ফলে টাইব্রেকারে ম্যাচ গড়ায়। এক পয়েন্টের ব্যবধানে ম্যাচ বার করেন ভারতীয় দাবাড়ু। প্রথম এবং দ্বিতীয় দাবা বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারতের বিশ্বনাথন আনন্দ। ২০০৫ সাল থেকে বিশ্ব দাবা প্রতিযোগিতার অংশ হয়ে যায় বিশ্বকাপ । তার পর থেকে প্রতি দু’বছর অন্তর এই প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হচ্ছে।
১০ বছর বয়সেই আন্তর্জাতিক গ্র্যান্ডমাস্টার
প্রজ্ঞানন্দ একদা ছিলেন ভারতের বিস্ময় বালক। মাত্র ১০ বছর বয়সে তিনি গ্র্যান্ডমাস্টার উপাধি পেয়েছিলেন। এবার কার্লসেনকে হারাতে পারলেই কেল্লাফতে।