Advertisement

FIFA World Cup 2022: কোচ চান, তাই ইরানের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে হিজাব আন্দোলনের সেই সমর্থক

FIFA World Cup 2022: বিতর্কের জের ইরান ফুটবলে। ফুটবল বিশ্বকাপের জন্য চূড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণা করল ইরান। সব দলের ক্ষেত্রে কোচ নাম ঘোষণা করলেও ইরানের (Iran) কোচ কার্লোস কুইরোজ (Charlos Kuiroz) নাম ঘোষণা করলেন না। কেন?

কোচ চান, তাই ইরানের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে হিজাব আন্দোলনের সেই সমর্থক
Aajtak Bangla
  • নয়াদিল্লি,
  • 15 Nov 2022,
  • अपडेटेड 5:45 PM IST
  • ইরানের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে হিজাব আন্দোলনের সেই সমর্থক
  • কোচের দল ঘোষণার অধিকার কেড়ে নিল ইরান ফেডারেশন
  • ওয়েবসাইটে দল ঘোষণা করে দিল ফেডারেশন

FIFA World Cup 2022: হিজাব বিতর্কের জের ইরান ফুটবলে। ফুটবল বিশ্বকাপের জন্য চূড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণা করল ইরান। সব দলের ক্ষেত্রে কোচ নাম ঘোষণা করলেও ইরানের (Iran) কোচ কার্লোস কুইরোজ (Charlos Kuiroz) নাম ঘোষণা করলেন না। ইরান ফুটবল ফেডারেশনের তরফে সোস্যাল সাইটে দলের নামের তালিকা ঘোষণা করা হয়। কেন এমন ঘটনা? আসলে এর পিছনের লুকিয়ে রয়েছে পুরনো হিজাব বিতর্ক। বিষয়টা কী? আসুন দেখে নিই।

ইরানের ফুটবল ফেডারেশনের কথা উপেক্ষা করে সর্দার আজমৌনকে বিশ্বকাপের দলে রেখেছেন কুইরোজ। তাতেই ক্ষুব্ধ ইরানের ফুটবল কর্তারা। তাই কুইরোজকে সাংবাদিক সম্মেলন করতে দেওয়া হয়নি। বদলে সোমবার ফেডারেশনের ওয়েবসাইটে দল ঘোষণা করা হয়। 

পুলিশ হেফাজতে ২২ বছরের তরুণী মাহশা আমিনির মৃত্যুর জেরে পথে নেমেছেন ইরানি মহিলাদের একটা বড় অংশ। হিজাব খুলে ফেলে সরকার বিরোধী আন্দোলনে শামিল হন তাঁরা। সেই আন্দোলনের পাশে দাঁড়িয়েছেন ইরানের জাতীয় ফুটবলার সর্দার আজমৌন (Sardar Azmoun)। আজমৌন দাবি করেছিলেন, এ জন্য জাতীয় দলে না খেলানো হলে তাঁর আফশোস নেই। তিনি শুধু বলেনইনি সোশ্যাল মিডিয়াতেও নিজের বক্তব্যের সমর্থনে বয়ানও লেখেন।

এরপরই আজমৌনকে বাদ দেওয়ার বার্তা দেওয়া হয় কুইরোজকে। যদিও দলের স্বার্থে তাঁকে বাদ দিতে রাজি হননি কোচ। ‘ইরানের মেসি’বলে স্বদেশে পরিচিত আজমৌন বিশ্বকাপ দলের অন্যতম ভরসা। ২৭ বছরের এই স্ট্রাইকার এখনও পর্যন্ত দেশের জার্সিতে ৬৫ ম্যাচে ৪১ গোল করেছেন। এছাড়াও দলে আছেন মেহেদি তারেমি,আলিরেজা জাহাঁবক্সের মতো খেলোয়াড়রা। কাতারে ইরান কতটা সফল হবে, তার অনেকটাই নির্ভর করবে আজমৌন-তারেমি জুটির উপর।

ভুল ভাবে হিজাব পরার অপরাধে প্রথমে নীতি পুলিশের হাতে গ্রেফতার ও পরে পুলিশি হেফাজতেই মৃত্যু হয় ইরানের ২২ বছরের তরুণী মাহসা আমিনির। আর তারই প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ে। রণক্ষেত্রের আকার ধারণ করে ইরান। প্রকাশ্যে হিজাব খুলে প্রতিবাদ করেন ইরানি মহিলারা। এই ঘৃ্ন্য ঘটনার প্রতিবাদে সামিল হন ইরানের বেশ কিছু ফুটবলার। এরপরই ইরান সরকার ঘোষণা করে, যে সব ফুটবলাররা এই সরকার বিরোধী প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন, তাঁদের ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া যাবে না। কিন্তু সরকারি নিষেধ না মেনেই বিশ্বকাপ দলে তাঁদের রেখেছেন কুইরোজ। আদৌ সেই ফুটবলাররা শেষ অবধি বিশ্বকাপ খেলতে পারবেন কীনা, তা নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে।

Advertisement

গোলরক্ষক : আলিরেজা বেইরানভান্দ, আমির আবেদজাদে, হোসেন হোসেইনি, পায়াম নিয়াজমান্দ।

ডিফেন্ডার : মজিদ হোসেইনি, হোসেইন কানানি, শোজা খলিজাদে, মোর্তেজা পৌরালিগঞ্জি, সাদেঘ মোহরামি, মিলাদ মহমাদি, এহসান হজসফি, রমিন রেজায়েন, অবোলফাজি জালালি।

মিডফিল্ডার : বাহিদ আমিরি, সইদ এজাতোলাহি, আলি করিমি, আহমাদ নুরোল্লাহি, রোজবে চেশমি, 

ফরোয়ার্ড : সামান ঘোদ্দোস, আলিরেজা জাহাঁবক্স, মেহেদি তোরাবি, আলি ঘোলিজাদে, করিম আনসারিফার্ড, সরদার আজমাউন, মেহদি তারেমি।

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement