কুস্তিগীরদের পাশে দাঁড়ালেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। কোনও বিবৃতি দিয়ে নয়, একেবারে আখড়ায় পৌঁছে রেসলারদের সঙ্গে দেখা করছেন তিনি। শুনছেন তাঁদের সমস্যার কথা। WFI-এর প্রাক্তন সভাপতি ব্রিজভূষণ শরন সিং-এর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনা রেসলারদের নিয়ে গোটা দেশ যখন উত্তাল, তখনই দীপক পুনিয়াদের দেখা করতে তাঁদের গ্রামে পৌঁছে গেলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। ছারা গ্রামে পৌঁছে বীরেন্দ্র আখড়ায় কুস্তিগীরদের সঙ্গে দেখা করেন। এই সময়ে বজরং পুনিয়াও কংগ্রেস নেতার সঙ্গে ছিলেন। দীপক এবং বজরং পুনিয়া এই বীরেন্দ্র আখড়া থেকে তাদের কুস্তি শুরু করেছিলেন।
রাহুল কুস্তিগীরদের সঙ্গে কথা বলেন। কংগ্রেস নেতাকে সামনে পেয়ে তাদের অভাব-অভিযোগের কথা তুলে ধরেন রেসলাররা। সূত্রের খবর শুধু ছারা নয়, এরপর রাহুল গান্ধী রোহতক আখড়াতেও গিয়ে কুস্তিগিরদের সঙ্গে কথা বলবেন। মেহেরসিং আখড়ায় যাওয়ার কথা রয়েছে তাঁর।
পুরস্কার ফেরত দেওয়ার ঘোষণা করেন ভিনেশ ফোগাট
মঙ্গলবার নিজেই কুস্তিগীর ভিনেশ ফোগাট তাঁর পুরস্কার ফিরিয়ে দেওয়ার ঘোষণা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে উদ্দেশ্য করে একটি চিঠিতে ভিনেশ বলেছেন, 'সাক্ষী মালিক কুস্তি ছেড়ে দিয়েছেন এবং বজরং তাঁর পদ্মশ্রী ফিরিয়ে দিয়েছেন। দেশের হয়ে অলিম্পিক্সে পদক জয়ী খেলোয়াড়রা কেন এসব করতে বাধ্য হলেন? গোটা দেশ এটা জানে। আপনি দেশের প্রধান, তাই বিষয়টি নিশ্চয়ই আপনার কাছেও পৌঁছেছে। প্রধানমন্ত্রী, আমি আপনার বাড়ির মেয়ে ভিনেশ ফোগাট এবং গত এক বছর ধরে আমি যে অবস্থার মধ্যে ছিলাম তা আপনাকে জানাতে আমি আপনাকে এই চিঠি লিখছি।'
এর আগে, সাক্ষী মালিক কুস্তি থেকে অবসর ঘোষণা করেন। সেই সময়, এই কংগ্রেসের আরেক নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও কুস্তিগীরদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। শুক্রবার গভীর রাতে সাক্ষী মালিকের সঙ্গে তাঁর বাসভবনে দেখা করেন প্রিয়াঙ্কা। এখানে সাক্ষীর কথা শোনেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। এই বৈঠক প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা বলেন, 'আমি একজন মহিলা হিসেবে এখানে এসেছি কারণ তাঁর সঙ্গে যা হয়েছে তা অন্যায়।'