সংসদের উভয় কক্ষেই পাশ হয়ে গিয়েছে ‘দ্য প্রোমোশন অ্যান্ড রেগুলেশন অফ অনলাইন গেমিং বিল, ২০২৫’। তবে অনলাইনে টাকা লাগিয়ে গেম খেলা নিষিদ্ধ হয়ে গেলেও, অনেকেরই এই সমস্ত অ্যাপের ওয়ালেটে টাকা রেখে দিয়েছেন। তাঁরা সেই টাকা ফেরত পাবেন তো? তা নিয়েই রয়েছে সংশয়।
কী জানিয়েছে সংস্থাগুলি?
মোবাইল প্রিমিয়াম লিগ (MPL) দেশের সবথেকে বড় গেমিং প্ল্যাটফর্ম। টাকা সংক্রান্ত সমস্ত গেমিং পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা করেছে। তারা লিঙ্কডইন পোস্টে জানিয়েছে, আইন মেনেই চলবে তারা। এমপিএল জানিয়েছে, তাদের প্ল্যাটফর্মে নতুন ডিপোজিট আর নেওয়া হবে না। যাদের এমপিএল অ্যাকাউন্টে টাকা রাখা ছিল, তারা সেই টাকা তুলে নিতে পারবেন। এমপিএল প্ল্যাটফর্ম থাকলেও, এতে অনলাইনে টাকা বিনিয়োগ করে যে গেমগুলি খেলা হত, তা আর পাওয়া যাবে না। এশিয়া, ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকা জুড়ে ১২০ মিলিয়নেরও বেশি রেজিস্টার্ড ইউজার রয়েছে।
এমপিএলের মতো জুপি (Zupee)-ও তাদের সমস্ত পেইড গেম বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা করেছে। এই প্ল্যাটফর্মে এখন লুডো সুপ্রিম, লুডো টার্বো, স্নেকস অ্যান্ড ল্যাডার, ট্রাম্প কার্ড ম্যানিয়ার মতো গেমগুলি নিখরচায় খেলা যাবে। জ়ুপি-তেও ১৫০ মিলিয়নের বেশি ব্যবহারকারী রয়েছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, ফ্যান্টাসি স্পোর্টস গেমিং প্ল্যাটফর্ম ড্রিম ১১-ও তাদের পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। এর বদলে মালিকানা সংস্থা ড্রিম স্পোর্টস ফ্যানকোড, স্পোর্টস ড্রিপ, ক্রিকবাজ, উইলো টিভিতে বিনিয়োগ বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে। কেন্দ্রের আনা নয়া বিলে যে সমস্ত অ্যাপে টাকা বিনিয়োগ করে গেম খেলতে হয়, তার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। শুধুমাত্র গেমের উপরেই নিষেধাজ্ঞা নয়, গেমের প্রচার করলেও কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হবে। তিন বছরের জেল এবং ১ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
সরকার এখন কেন এই আইন আনল?
অশ্বিনী সংসদে বলেন, “মানুষ অনলাইন গেমিংয়ে তাদের জীবনের সঞ্চয় হারাচ্ছেন।” তিনি বলেন, সরকার অনলাইন মানি গেমিংয়ের সঙ্গে আসক্তি এবং আর্থিক ক্ষতি রোধ করতে চায়, তবে ই-স্পোর্টস এবং সামাজিক গেমিংকে উৎসাহিত করবে। হস্পতিবার বৈষ্ণব পরিসংখ্যান তুলে ধরে জানান, অনলাইন গেমিং প্ল্যাটফর্মে অংশ নিয়ে দেশের অন্তত ৪৫ কোটি মানুষ টাকা খুইয়েছেন। তিনি আরও বলেন, এই ধরণের অনেক প্ল্যাটফর্ম অর্থ পাচার, সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন এবং সন্ত্রাসী সংগঠনগুলির বার্তা প্রচারের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে।