কোনমতে ম্যচ জিতল ইস্টবেঙ্গল। হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে দুই ম্যাচ পর জয় পেল লাল-হলুদ। ক্লেইটন সিলভা ফিরতেই তিন পয়েন্ট তুলে নিল তারা। সুপার কাপ জেতার পর মোহনবাগানের বিরুদ্ধে ডার্বি ম্যাচ ড্র করলেও নর্থইস্ট ও মুম্বই সিটি এফসি-র বিরুদ্ধে হেরে ১১ নম্বরে নেমে যায় ইস্টবেঙ্গল। সেখান থেকে এই জয় অক্সিজেন দেবে তাদের।
ম্যাচের ১১ মিনিটেই এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। আইএসএল-এ ৩৫তম গোল করে ফেলেন ক্লেইটন সিলভা। ডানদিক থেকে নিশু কুমারের ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে গোল করে যান ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার। ক্যাপ্টেন ফিরতেই যেন চেনা ছন্দে লাল-হলুদ। ৪১ মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ এসে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গলের সামনে ফের গোল করার কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলেন ক্লেইটন। তবে অ্যালেক্স সাজি শরীর ছুড়ে পরিস্থিতি সামাল দেন। এরপরে আবারও ফেলিসিও ফোর্বসকে গোল করা থেকে আটকে দেন তিনি।
এরপর আর বলার মতো কোনও আক্রমণই তুলে আনতে পারেনি কার্লেস কুয়াদ্রাতের দল। উল্টে বেশ কয়েকবার গোল খাওয়া থেকে বেঁচে গিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের শেষদিকে একেবারে চেপে বসে হায়দরাবাদ। মন্দার রাও দেশাইদের ভুলের সুযোগ নিয়ে মাকেন ছোটেরা লাল-হলুদের ডিফেন্সে ভয় ধরিয়েছেন বারবার।
অ্যাডেড টাইমে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে লাল কার্ড দেখতে হয় অ্যালেক্স সাজিকে। শেষ চার মিনিট ১০ জনে খেলতে হয় হায়দরাবাদকে। এরপর লাল কার্ড দেখেন জোয়াও ভিক্টরও। তবে এই ম্যাচ থেকে ১ পয়েন্ট নিয়ে ফিরতেই পারত হায়দরাবাদ। গোল করার সুযোগ তৈরি করলেও স্ট্রাইকারের সমস্যায় ভুগতে থাকা থংবই সিন্টোর ছেলেরা গোল পায়নি। দ্বিতীয়ার্ধে শুধুই গোলটা করতে পারেনি তারা। একটা সময় ইস্টবেঙ্গল শুধুই ডিফেন্স করতে থাকে। তবে এই জয়ের ফলে ১৪ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে আট নম্বরে উঠে এল লাল-হলুদ। এখনও প্লে অফের দৌড়ে ভালভাবেই থাকল তারা। এরপর তাদের ম্যাচ বৃহস্পতিবার জামসেদপুরের বিরুদ্ধে। যে ছন্দে খালিদ জামিলের দল খেলছে তাতে তাদের হারাতে বেগ পেতে হতে পারে ইস্টবেঙ্গলকে।