ইমামির কর্ণধার আদিত্য আগরওয়াল এই মুহূর্তে দেশের বাইরে রয়েছেন। পরিবারকে নিয়ে ইতালিতে রয়েছেন তিনি। চলতি সপ্তাহের শেষে দেশে ফেরার কথা রয়েছে তাঁর। তবে ইস্টবেঙ্গলের চুক্তির কাগজপত্র তৈরি কাজ থেমে নেই। চূড়ান্ত চুক্তির খসড়ায় যেটুকু আপত্তি ছিল তা মিটে গিয়েছে। ক্লাবের পক্ষ থেকে চুক্তিতে সই করার ব্যাপারে সম্মতি দেওয়া হয়েছে। ফলে চুড়ান্ত চুক্তিপত্র তৈরির কাজ আইনজীবিদের কড়া নজরদারিতে চলছে। ইমামির পক্ষ থেকে এই খবর জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ক্লাব এবং লগ্নিকারী দুইপক্ষই চুড়ান্ত চুক্তিপত্রে কোনও খামতি রাখতে চাইছে না। ফলে সময় লাগলেও তাতে আপত্তি নেই দুই পক্ষের। এদিকে সদস্য সমর্থকরা দলগঠন প্রক্রিয়া থেমে রয়েছে বলে চিন্তিত। তবে দীর্ঘ মেয়াদী চুক্তিতে তাড়াহুড়ো করতে চাইছেন না কোনও পক্ষের কর্তারাই। ইমামি কর্তৃপক্ষ মানছেন সদস্য সমর্থকদের চিন্তিত হওয়ার কারণ রয়েছে।
আরও পড়ুন: কলকাতা লিগ নিয়ে আপত্তি ইস্টবেঙ্গল-মহমেডানের
যদিও ক্লাব চাইছে, চুক্তির কাগজ তৈরির কাজ চলার পাশাপাশি দলগঠনের কাজটাও চলতে থাকুক। কিন্তু তারা অন্যভাবে ভাবছে। চুক্তি প্রক্রিয়ার কাজ সম্পূর্ন হলে দুইপক্ষের স্বাক্ষরের দিনই সাংবাদিক সম্মেলন করার ভাবনাও রয়েছে ইমামির। চলতি মাসের শেষ থেকেই কলকাতা লিগের প্রিমিয়ার ডিভিশনের খেলা শুরু হবে। এটিকে মোহনবাগান কলকাতা লিগে খেলতে অনিচ্ছুক। ইচ্ছে থাকলেও প্রায় একই পরিস্থিতি ইস্টবেঙ্গলের। কারন চুক্তি হবে,কিন্তু তা সঠিকভাবে কোন দিন হবে বলা যাচ্ছে না। এই অবস্থায় চুক্তি স্বাক্ষরের পরে দল গঠন করে কলকাতা লিগ এবং ডুরাণ্ড কাপে অংশ নেওয়া কঠিন চ্যালেঞ্জ।
আরও পড়ুন: চুক্তি জট: 'সময় বদলেছে, বুঝতে হবে,' ইস্টবেঙ্গলকে বার্তা প্রাক্তন কর্তার
এমনকী, আইএসএলের বাকি দলগুলি যখন দল গড়ে প্রস্তুতিতে নেমে পড়ছে, সেখানে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব দল গঠনের কাজ শুরু করতে পারেনি। ব্যক্তিগত উদ্যোগে বেশ কয়েকজন ফুটবলারের সঙ্গে প্রাথমিক ভাবে চুক্তি সেরে ফেলেছেন লাল-হলুদ কর্তারা। তবে আদৌও তাঁদের আইএসএলের দলে রাখা হবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ফলে স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠছে, দল আইএসএলে খেললেও গত দুই বছরের মতো লজ্জার মুখে পড়তে হবে না তো! যদিও ইস্ট বেঙ্গল কর্তারা আশার কথাই শোনাচ্ছেন। দুই একদিনের মধ্যেই সই পর্ব সম্পন্ন হয়ে যাবে। বলেই আশাবাদী লাল-হলুদ কর্তারা। তারপরই দ্রুত শুরু হবে দল গঠনের প্রক্রিয়া। এমনই দাবি করেছেন তারা।