মঙ্গলবার ক্লাব তাঁবুতে কার্যনির্বাহী কমিটির জরুরি সভা ডাকল ইস্টবেঙ্গল। সেখানে বিনিয়োগকারী সংস্থা ইমামির সঙ্গে চুক্তির বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন কমিটির সদস্যরা। দ্রুত এই চুক্তি সাক্ষর করতে ইতিমধ্যেই ইস্টবেঙ্গলের তরফ থেকে একটি ড্রাফট তৈরি করা হচ্ছে। মঙ্গলবারের বৈঠকে তা পেশ করা হবে। একই সঙ্গে সোমবার ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন ফুটবলারদের পাঠান চিঠি নিয়েও এই বৈঠকে আলোচনা হবে।
সোমবার সাত প্রাক্তন ফুটবলারের স্বাক্ষরিত একটি চিঠি ক্লাব সচিবকে দেওয়া হয়েছে। তাতে লেখা রয়েছে, ৯ জুন ট্রান্সফার উইন্ডো খুলে গেলেও নতুন ফুটবলার সই করানোর ব্যাপারে ক্লাব উদাসীন। ইমামির সঙ্গে ক্লাবের চুক্তির পরেও ২৪-২৫ দিন কেটে গিয়েছে। তবুও কোনও হেল দোল দেখা যাচ্ছে না কোনও তরফে। সব মিলিয়ে ক্লাবের কোটি কোটি সমর্থকরা চিন্তিত। আইএসএলের খেলার উপযুক্ত টিম গড়তে না পারলে ক্লাবের ইতিহাস কালিমালিপ্ত হবে। যা একেবারেই কাম্য নয়। তেমন হলে আইএসএল থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করুক ক্লাব। দায়সারা ভাবে দোল গঠন করে আইএসএল খেলার কোনও মানেই নেই। কলকাতা লিগ, শিল্ড, ডুরান্ড কাপের মতো টুর্নামেন্টগুলোতেই খেলুক লাল-হলুদ ক্লাব। এই প্রাক্তন ফুটবলারদের মধ্যে রয়েছেন, মিহির বসু, প্রশান্ত ব্যানার্জি, কৃষ্ণেন্দু রায়, অলোক মুখার্জি, বিকাশ পাঁজি, সুমিত মুখার্জি ও রহিম নবি।
উল্লেখ্য, শ্রী সিমেন্টের সঙ্গে গত মরশুমের পর ইস্টবেঙ্গলের সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়। এরপরেই ইনভেস্টর না পেলেও দল গঠনের কাজ শুরু করে দেয় ক্লাব। নবি, কৃষ্ণেন্দু রায়, প্রশান্ত বন্দোপাধ্যায়রা ক্লাবের কথা শুনে ভাল প্রতিভার সন্ধান করতে থাকেন। আই লিগ, সন্তোষ ট্রফি দেখে ফুটবলারদের বাছাই করতে থাকেন তাঁরা।
সন্তোষ ট্রফি দেখতে কেরলেও ছুটে গিয়েছিলেন প্রাক্তনরা। ফুটবলারদের তালিকা তৈরি করে ক্লাব কর্তাদের হাতে দেন তাঁরা। তবে চুক্তি জটে আটকে যায় সই প্রক্রিয়া। অন্য ক্লাবগুলি সেই সমস্ত ফুটবলাদের সঙ্গে চুক্তি করে নিচ্ছে। তাই ভাল ফুটবলার পাওয়া সমস্যার হয়ে পড়ছে।