কিছুদিন আগেই ময়দানের অন্যতম প্রধান ক্লাব মোহনবাগান দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। আর তাঁর ঠিক তিন দিন পরই ময়দানের শতবর্ষের ক্লাব ইস্টবেঙ্গলের প্রতিষ্ঠা দিবস। আজ পয়লা আগস্ট। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের ১০১ তম প্রতিষ্ঠা দিবস। তবে ক্লাব শতবর্ষ পার করলেও কোথাও গিয়ে শান্তি নেই ক্লাবের অন্দরমহলে। কারণ গভীর চিন্তার মধ্যে রয়েছেন কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সমর্থকরাও।
শ্রী সিমেন্টের সঙ্গে চূড়ান্ত পর্যায়ে ডামাডোল চলছে। আইএসএলে দল নামতে পারবে কী না তা নিয়ে রয়েছে দ্বন্দ্ব! কিন্তু তারই মাঝে প্রিয় ক্লাবের প্রতিষ্ঠা দিবসে রয়েছে সমর্থকদের মনে উৎসাহ। লাল-হলুদ রংয়ের শুভেচ্ছায় ইতিমধ্যেই ভাসছে নেটদুনিয়া। এই দিনটা উদযাপন করতে সারা বছর অপেক্ষা করেন সমর্থকেরা।
১৯২০ সালের পয়লা আগস্ট প্রতিষ্ঠিত হয় ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের। কলকাতা ময়দানের প্রতিবেশী দুই প্রধান ক্লাব সবুজ-মেরুণ মোহনবাগান এবং সাদা-কালো মহমেডান স্পোর্টিংয়ের চেয়ে বয়সে অনেকটাই ছোট লাল হলুদ ক্লাব। তবে এই তিন ময়দানের প্রধান ক্লাবই ফুটবলের প্রাচীন ইতিহাস৷ তবে প্রতিষ্ঠা পেয়ে মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল প্রায় সমান জায়গায় এসে দাঁড়ায়। কারণ বাঙালি মানেই কিছুটা সবুজ-মেরুণ ও কিছুটা লাল-হলুদ।
পশ্চিম ও পূর্ববঙ্গের খেলোয়াড়দের প্রতি বঞ্চনার বিরুদ্ধে লড়াই এই ক্লাবের পাখির চোখ থাকলেও ক্রমশ ইস্টবেঙ্গল হয়ে ওঠে ভারতীয় ফুটবলের দুই প্রধান স্তম্ভের একটি।
কথায় আছে ছিন্নমূল বাঙালির আকাশ ছোঁয়ার স্পর্ধা। দেশভাগের পরবর্তীতে ছিন্নমূল মানুষের লড়াই এই ক্লাবকে অন্য উচ্চতায় পৌঁছে দেয়। ইস্টবেঙ্গল ক্লাব হয়ে ওঠে পূর্ববঙ্গ থেকে আশা বিভিন্ন মানুষের আশা ও ভরসা। তারপরই ভারতের অন্যতম স্তম্ভ ক্লাব হিসাবে দেখা যায় ইস্টবেঙ্গলকে।
ক্লাবের জট কাটার আশঙ্কা
শতবর্ষ পার করা ক্লাব এখন চূড়ান্ত অনিশ্চিয়তার মধ্যে আছে। ক্লাবকর্তাদের সঙ্গে ইনভেস্টর সমস্যা এখনও মেটেনি। ফলে কী হতে চলেছে ইস্টবেঙ্গলের ভবিষ্যত সেই নিয়ে একটা চিন্তা থেকেই যাচ্ছে। সংকটে ক্লাবের খেলাধুলো। তবে এই সমস্যা মিটে যেতে পারে কী নয়া প্রতিষ্ঠা দিবসে। ফের একবার ঝলমলে লাল-হলুদ রং ফুটে উঠতে পারে ইস্টবেঙ্গল। সুযোগ রয়েছে। কারণ ইস্টবেঙ্গল প্রতিষ্ঠা দিবসের আগেই কলকাতায় হাজির হয়েছেন শ্রী সিমেন্টের মালিক হরিমোহন বাঙ্গুর।
একই সঙ্গে আজ ক্লাব তাঁবুতে নয়া সেগমেন্টের উদ্বোধন। ফলে শুভ দিনে ও ঐতিহাসিক দিনে কোনও বদল আসে কী না ক্লাবে সেটাই এখন দেখার!