চলতি ইন্ডিয়ান সুপার লিগে একদিকে যখন এটিকে মোহনবাগান আজ দ্বিতীয় লেগের সেমিফাইনাল খেলতে নামছে, ঠিক সেইসময় তাদের পড়শি ক্লাব অর্থাৎ ইস্টবেঙ্গলে নেমে এল সংশয়ের অশনিসংকেত। সারদা মামলায় আরও একবার ডেকে পাঠানো হল ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকারকে। আজ ED-র পক্ষ থেকে তাঁকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। CBI সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১০ মার্চ সল্টলেকের CGO কমপ্লেক্সে ডেকে তাঁকে আরও একদফা জেরা করা হতে পারে।
এবারের আইএসএল মরশুমে একবারে জঘন্য পারফরম্যান্স করেছে লাল-হলুদ ব্রিগেড। ২০ ম্যাচে তারা ১৭ পয়েন্ট সংগ্রহ করতে পেরেছে। সেকারণে পয়েন্ট টেবিলের নবম স্থানে থেকেই তাদের বিদায় নিতে হয়েছে। দলের এমন পারফরম্যান্সের পর প্রধান কোচ রবি ফাওলারের পাশাপাশি ক্লাবকর্তাদের বিরুদ্ধেও সমর্থকদের একাংশ ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন। সেই তালিকায় নাম ছিল নীতু সরকারেরও। এবার গোদের উপর বিষফোঁড়া হল ED-র শমন! ফলে লাল-হলুদ শিবিরে অস্বস্তি যে ক্রমশ বাড়ছে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
কেন জারি করা হল এই শমন
দেবব্রত সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ এই যে তিনি SEBI-র সঙ্গে সম্পর্কের কথা জানিয়ে সারদা গোষ্ঠীর কর্ণধার সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে সখ্যতা তৈরি করেন। সেই সম্পর্কের খাতিরেই তিনি নাকি ক্লাবের জন্য ৪ কোটি টাকা নিয়েছিলেন। এই মর্মে আগামী বৃহস্পতিবার সুদীপ্ত সেনের সহযোগী ও সারদা গ্রুপের এজেন্ট অরিন্দম দাসকেও তলব করেছে ED।
দেবব্রত সরকারের বক্তব্য
এই অভিযোগের পালটা দিয়ে আনন্দবাজার ডিজিটালকে লাল-হলুদ কর্তা জানিয়েছেন, "আমাকে প্রতি বছর আয়কর সংক্রান্ত নথিপত্র ED-তে জমা দিতে হয়। এবারও জমা দিতে হবে। এটা আমি নিজে জমা দিতে পারি। কিংবা কোনও প্রতিনিধি মারফত জমা করতে পারি। এটা যে কোনও দিন করতে পারি।"
এই প্রসঙ্গে আপনাদের জানিয়ে রাখি যে গত ২৯ ডিসেম্বর ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে প্রথমবার চিঠি পাঠিয়েছিল ED। সেবার অবশ্য রোজ়ভ্যালি চিটফান্ডের সঙ্গে যুক্ত লাল-হলুদ ক্লাবের অ্যাকাউনট্যান্ট দেবদাস সমাজদারকে চিঠি পাঠানো হয়। ওই চিঠিতে ক্লাবের সঙ্গে রোজভ্যালি সংস্থার কোনও আর্থিক লেনদেন হয়েছিল কি না সেই সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। যদিও সেই চিঠির কোনও জবাব ক্লাবের পক্ষ থেকে CBI-কে দেওয়া হয়নি। তাই গত ৫ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তরফ থেকে দ্বিতীয়বার চিঠি পাঠানো হয়। তবে এটি পাঠানো হয়েছিল ক্লাব সভাপতি ডাক্তার প্রণব দাশগুপ্তকে। আর এবার সারদা মামলায় চিঠি পাঠানো হল দেবব্রত সরকারকে।