আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় মুম্বই সিটি এফসিকে শুভেচ্ছা জানাল ইস্টবেঙ্গল। এ পর্যন্ত ব্যাপারটা ঠিকই ছিল। কিন্তু মাঝরাতে হোটেলে গিয়ে লাল-হলুদ উত্তরীয় এবং হাতে মিষ্টির হাঁড়ি নিয়ে ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের হাজির হয়ে যাওয়া অনেক মোহনবাগান সমর্থকের কিছুটা অস্বাভাবিক লাগছে। তাঁদের মনে হয়েছে, মোহনবাগান হেরে যেতেই হয়ত বাড়াবাড়ি করছেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। তবে লাল-হলুদ কর্তাদের দাবি, তাঁরা মুম্বই কর্তাদের সঙ্গে সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ করেন এবং মিষ্টির হাঁড়ি তুলে দেন। লিগ শিল্ড জেতার পরেও ইস্টবেঙ্গল কর্তারা মোহনবাগান ক্লাবে গিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে এসেছিলেন। আর এদিনও তার ব্যাতিক্রম হল না।
অন্যদিকে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের ফেসবুক পেজ থেকেও মুম্বই সিটি এফসি'কে এই জয়ের পর শুভেচ্ছা জানানো হয়। ক্লাব প্রেসিডেন্ট প্রণব দাসগুপ্ত স্বয়ং একটি ছবি দিয়ে এই পোস্টটি করেন। ছবির উপরেই লিখে দেওয়া হয়েছে, মুম্বই সিটি এফসি'কে শুভেচ্ছা। এই পোস্টটাও ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়েছে। মোহনবাগান লিগ শিল্ড জেতার পরে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানানো হলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়নি। তবে এদিন মোহনবাগান সুপার জায়েন্টকে মুম্বই হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় সেটাই করলেন লাল-হলুদ কর্তারা।
শনিবার এই ফাইনাল ম্যাচে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট এগিয়ে গিয়েও হেরে যায়। ম্যাচের ৪৪ মিনিটে সবুজ-মেরুনের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন জেসন কামিন্স। সেই গোল দেখে অনেকেই মনে করেছিলেন, এবার বোধহয়, মুম্বইয়ের উপর চেপে বসবে মোহনবাগান। কিন্তু, দ্বিতীয়ার্ধেও ছন্নছাড়া অ্যান্তনিও লোপেজ হাবাসের দল। ম্যাচের ৫৩ মিনিটে মুম্বইয়ের হয়ে সমতা ফেরান পেরেরা দিয়াজ । এরপর ৮১ মিনিটে ব্যবধান বাড়ালেন বিপিন সিং। অবশেষে ম্যাচে অতিরিক্ত সময়ে জ্যাকুবের গোল সব স্বপ্ন শেষ করে দেয়।
ত্রিমুকুট জেতার লক্ষ্যে খেলতে নামা মোহনবাগানের এই ফাইনাল ম্যাচ দেখতে ৬১ হাজার দর্শক হতাশ হয়েই ফিরলেন। সুপার কাপ বাদ দিলে, এই মরসুমে মোহনবাগান যে ছন্দে ছিল, সেই জায়গায় ফাইনাল ম্যাচে ঘরের মাঠে তারা যে এভাবে মুখ থুবড়ে পড়বে, সেটা কেউ দুঃস্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেননি।