তারিখ বদলে গেল। আরও এক সপ্তাহ পিছিয়ে গেল ইস্টবেঙ্গল-ইমামির চুক্তি সইয়ের প্রক্রিয়া। তবে লগ্নিকারী সংস্থা ইমামির সঙ্গে আর কোনও সমস্যা নেই বলে জানিয়ে দিলেন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার। তিনি বলেন, ''ইমামি গ্রুপের তরফেও চুক্তি বাস্তবায়নে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করা হচ্ছে। একটি বিষয়ে সামান্য সমস্যা ছিল সেটাও সমাধান হয়ে গিয়েছে। গত শুক্রবার কোম্পানি গঠনের জন্য ক্লাবের কাছ থেকে যে সম্মতি চাওয়া হয়েছিল সেটাও পাঠান হয়েছে।'' অনেকেই আশা করেছিলেন হয়ত চলতি সপ্তাহে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সঙ্গে ইমামির চুক্তি সই হয়ে যাবে। তবে তা হল না। পরের সপ্তাহ অবধি অপেক্ষা করতে হবে তাদের।
সই করার বিষয়ে সবুজ সংকেত মঙ্গলবার ক্লাবের কার্যকরী কমিটির বৈঠকে মিলেছে বলে জানিয়ে দিলেন শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার। চুক্তি রূপায়নের পরবর্তী ধাপ কী ভাবে সম্পাদিত করা যায় তা নিয়ে চলতি সপ্তাহে ফের আলোচনায় বসবেন কর্তারা। ইমামি গ্রুপ পরিস্থিতি বুঝে দ্রুত সবকিছু করার চেষ্টা করছে। কিন্তু সদস্য সমর্থকরা ক্লাবের দলগঠন এবং লিগ সহ বাকি টুর্নামেন্টে অংশগ্রহনের ব্যাপারে জানতে আগ্রহী।
কলকাতা লিগে খেলতে আগ্রহী ইস্টবেঙ্গল ক্লাবও। দেবব্রত সরকার বলেন, ''এই ব্যাপারেও আমরাও আশাবাদী। কলকাতা লিগে অংশগ্রহনের ব্যাপারে আইএফএ-কে গোটা পরিস্থিতি জানান হয়েছে। আইএফএ-ও আমাদের অসুবিধার কথা বুঝতে পেরে বিবেচনা করবে বলেই আমাদের আশা।'' তবে শুধু কলকাতা লিগ নয় ডুরান্ড কাপেও খেলতে হবে ইস্টবেঙ্গলকে। সে কথা মাথায় রেখেই সমস্ত কিছু ঠিক করতে হচ্ছে বলে জানান ইস্টবেঙ্গল শীর্ষ কর্তা।
তিনি বলেন, ''একই সঙ্গে কলকাতা লিগের পাশাপাশি ডুরাণ্ড কাপে খেলার বিষয়টি মাথায় রেখে সবকিছু সাজাতে হচ্ছে। কারণ কলকাতা লিগ এবং ডুরান্ড কাপ একই সঙ্গে চলবে।'' এদিকে ফুটবলার নেওয়ার ক্ষেত্রে ইস্টবেঙ্গলের উপর থেকে ট্রান্সফার ব্যান ওঠেনি। কারণ একমাত্র ইরানের ভারতীয় বংশোদ্ভূত ফুটবলার উমেদ সিংয়ের বকেয়া টাকা পাঠানো যাচ্ছে না দেশের বৈদশিক নীতির জন্য। বিষয়টি এআইএফএফ এর খতিয়ে দেখা উচিত বলে মনে করে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব।