ইস্টবেঙ্গলে (East Bengal) আসছেন হুগো বুমোস (Hugo Boumos)? এমন কথা শোনা যাচ্ছিল নানা মহলে। শোনা যাচ্ছিল, মোহনবাগান (Mohun Bagan) ম্যানেজমেন্ট নাকি তাঁর আচরণে নাকি খুশি নন। এর ফলে, ক্লাব ছাড়তে পারেন। তবে দল তাঁকে ছাড়ছে না। মোহনবাগানের সঙ্গে আরও দুই বছরের চুক্তি রয়েছে। সুপার কাপে (Super Cup 2022) তিনি যদি ভালো পারফর্ম করতে পারেন, তবে পরের মরশুমেও সবুজ-মেরুন জার্সিতেই খেলতে দেখা যেতে পারে তাঁকে।
কত টাকা ট্রান্সফার ফি দিতে হবে?
দুই বছরের চুক্তি থাকায় হুগো বুমসকে দলে নিতে হলে ২ কোটি টাকা শুধু ট্রান্সফার ফি বাবদ দিতে হবে। ফলে তাঁকে সই করানো বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। সেই কথা বিচার করেই ইস্টবেঙ্গল তাঁকে নিতে চায়নি। তাঁর জায়গায় এই টাকায় অনেক ভালো মানের বিদেশী মিডফিল্ডার পাওয়া যাবে। তাই হুগোর জন্য এই বিরাট অঙ্কের টাকা দিতে চাইবে না। তবে সবচেয়ে বড় কথা হল জুয়ান ফেরান্দোই তাঁকে ছাড়তে চাইছেন না। ফলে অন্য দলে যাওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই তাঁর।
কেন মোহনবাগানের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হয়েছিল হুগোর?
ফাইনাল ম্যাচের ৮৬ মিনিটের মাথায় বুমোসকে তুলে নেন কোচ ফেরান্দো (Juan Ferrando)। তখন দেখা যায়, বুমোস বেশ ক্ষুব্ধ। দেখে বোঝা যাচ্ছিল, কোচের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারছিলেন না তিনি। ম্যাচ শেষ হওয়ার পর সবুজ-মেরুন ফুটবলাররা যখন সম্প্রচারকারী চ্যানেল স্টার স্পোর্টসে সাক্ষাৎকার দিচ্ছিলেন। তখনই বুমোসকে সেই ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। প্রশ্নের জবাবে সবুজ-মেরুন মিডফিল্ডার বলেন, 'আমি জানি না কেন আমাকে তুলে নেওয়া হল। গোটা মরশুমে এই ম্যাচেই আমি সব থেকে ভাল খেলছিলাম। নিজেকে বেশ ফিট লাগছিল। আমি সেই সময় মাঠ থেকে বেরই হতে চাইনি। তাই কোচের সিদ্ধান্ত একেবারেই মানতে পারিনি।’ এই ঘটনার পরেই তাঁকে সতর্ক করে দেয় টিম ম্যানেজমেন্ট। এরপর আর এই সমস্যা বেশিদূর এগোয়নি।
কলকাতায় ফেরার পরও মনমরা হয়ে বসে থাকতে দেখা গিয়েছে মরোক্কান ফুটবলারকে। তবে দুই কোটি টাকা ট্রান্সফার ফি দিয়ে পরের মরশু,মে তাঁকে নেওয়ার কথা ভাববে না কোনও দলই। তাই জুয়ানের কোচিং-এই খেলতে হবে তাঁকে। সোমবার গোকুলাম কেরল এফসির (Gokulam Kerala FC) বিরুদ্ধে সুপার কাপের অভিযান শুরু করবে এটিকে মোহনবাগান। রবিবার সকালে ঘরের মাঠে অনুশীলন করে দুপুরের বিমানে কোঝিকোড় উড়ে যাবে মোহনবাগান। দলে চোট আঘাতের সমস্যা থাকলেও, ব্র্যান্ডন হামিল ছাড়া প্রায় সব ফুটবলারই যাচ্ছেন সুপার কাপ খেলতে।