কিছু দিনের মধ্যেই শুরু হচ্ছে ইন্ডিয়ান সুপার লিগ (Indian Super League)। তবে আগে ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal) চিন্তা বাড়িয়ে দিয়েছে ডিফেন্ডার জর্ডন এলসের চোট। প্রায় দেড় মাস মাঠের বাইরে থাকতে হতে পারে তাঁকে। বিকল্প হিসেবে একাধিক নাম উঠে আসছে। তবে শোনা যাচ্ছে ডিলন ফক্সের নাম। যদিও সরকারি ভাবে কোনও ফুটবলারের নামই ঘোষণা করেনি ইস্টবেঙ্গল।
কে এই ডিলন ফক্স?
অস্ট্রেলিয়ার এই সেন্টার ব্যাক ভারতীয় ফুটবলে একেবারেই নতুন নন। ভারতের তিন তিনটি ক্লাবে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। অস্ট্রেলিয়ার ক্লাব সেন্ট্রাল কোস্ট মেরিনার্সের হয়ে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। এই ক্লাবেই এর আগে খেলতেন মোহনবাগান সুপার জায়েন্টের বিশ্বকাপার স্ট্রাইকার জেসন কামিন্স। এরপর ২০২০ সালে ভারতীয় ক্লাব নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড এফসিতে সই করেছিলেন তিনি। এক মরশুম সেখানে খেলার পর, তাঁকে সই করায় এফসি গোয়া। গত মরশুমেও ইন্ডিয়ান সুপার লিগেই খেলেছিলেন ডিলন। সেবার জামসেদপুর এফসি-র জার্সি গায়ে চাপিয়ে খেলেছিলেন ডিলন। আর এবার তাঁকে সই করাতে পারে ইস্টবেঙ্গল।
ডুরান্ড কাপের ফাইনাল ম্যাচে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে হাঁটুতে চোট পেয়েছিলেন জর্ডন। তাঁর চোট সমস্যায় ফেলে দিয়েছে লাল-হলুদ কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতকে। চোট পাওয়ায় অন্তত দেড় মাস মাঠের বাইরে থাকতে হতে পারে তাঁকে। তাঁর জায়গায় আরও এক স্টপার পার্দো দলে থাকলেও তিনি ভরসা যোগাতে ব্যর্থ। ডুরান্ড কাপের ফাইনালে তো বটেই, এরপর বিভিন্ন অনুশীলন ম্যাচেও দলের দুর্গ রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। তবে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে কিনা তা এখনও জানানো হয়নি।
এগিয়ে গিয়েও ড্র করল ইস্টবেঙ্গল
সোমবার নিউটাউনে আই লিগের ক্লাব ইন্টার কাশির বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচে এগিয়ে থেকেও ২-২ গোলে ড্র করে ইস্টবেঙ্গল। ইস্টবেঙ্গলকে শুরুতে গোল করে এগিয়ে দেন সোল ক্রেসপো ও ক্লেইটন সিলভা। তবুও সেই ব্যবধান ধরে রাখতে পারেননি লাল-হলুদ ফুটবলাররা। কার্লেস কুয়াদ্রাত এটাই চিন্তায় রাখছে। সমর্থকরা মনে করছেন ডিফেন্ডার জর্ডন এলসের চোটাই সমস্যায় ফেলে দিল ইস্টবেঙ্গলকে। ডিফেন্সে দারুণ নেতৃত্ব দিতেন এই বিদেশি ফুটবলার। তবে তাঁর বিকল্প ফুটবলার দ্রুত খুঁজতে হবে ক্লাবকে। আইএসএল শুরু হয়ে গেলে চাপে পড়তে হবে তাদের। গোল করলেও তা ধরে রাখতে না পারলে পয়েন্ট পাওয়া যাবে না। পয়েন্ট ভাগাভাগি হয়ে গেলে আইএসএল-এ ভালো ফল করতে পারবেন না কুয়াদ্রাত।