শাহিবাগ পুলিশ স্টেডিয়ামে (Shahibaug Police Stadium), আজ সকালে মুখোমুখি হয় ইস্টবেঙ্গল বনাম স্পোর্টস ওড়িশা। মহিলাদের জাতীয় ফুটবল লিগে (Indian Women’s League), এটি ছিল ইস্টবেঙ্গলের ষষ্ঠ ম্যাচ। তাঁরা রয়েছে গ্রুপ এ-তে। বলা যেতে পারে, এই প্রতিযোগিতায় লাল হলুদের জন্য ভীষণই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ ছিল এটি। কিন্তু সেই ম্যাচেই, লড়াই করে হার ইস্টবেঙ্গলের।
কোচ সুজাতা করের (Sujata Kar) তক্তাবধানে, এবার জাতীয় লিগে (IWL) খেলতে গেছে ইস্টবেঙ্গলের মহিলা ফুটবল দল। কন্যাশ্রী কাপে (Kanyashree Cup) চ্যাম্পিয়ন হয়েই, এই প্রতিযোগিতায় খেলতে এসেছে তাঁরা। প্রসঙ্গত, মহিলা ফুটবলের (Women Football) উন্নতির স্বার্থে এই জাতীয় মহিলা ফুটবল লিগ অন্যতম একটি বড় মঞ্চ। সেইখানে নিজেদের প্রমাণ করার একটি মস্ত বড় সুযোগ রয়েছে লাল হলুদের প্রমীলা বাহিনীর কাছে। যদিও এই ম্যাচের প্রথমার্ধে লড়াই হয় তুল্যমূল্য। সুযোগ আসলেও, কোনও দলই গোল করতে পারেনি। ফার্স্ট হাফ গোলশূন্যভাবেই শেষ হয়।
কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে গোলের দরজা খোলে। ম্যাচের ৬০ মিনিটে, রেখার (Rekha) গোলে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ওড়িশা। এই গোলের পরেই, গোটা দলের আত্মবিশ্বাস অনেকটা বেড়ে যায়। যদিও লড়াই থেকে হারিয়ে যায়নি ইস্টবেঙ্গলের মেয়েরা। তার প্রমাণ পাওয়া গেল কিছুক্ষণ বাদেই। ম্যাচের ৬৩ মিনিটে, লাল হলুদের হয়ে সমতা ফেরান মৌসুমী মুর্মু (Mousumi Murmu)। তাঁর গোলেই লড়াইতে ফিরে আসে ইস্টবেঙ্গল এবং ব্যবধান দাঁড়ায় ১-১।
এই গোলের পর, ম্যাচ আরও জমে ওঠে। যখন মনে হচ্ছিল, ম্যাচটি হয়ত ড্র হতে চলেছে। ঠিক সেই সময়েই আবার নাটকীয় মুহূর্ত। ফুটবলের পরিভাষায় যাকে বলে, একেবারে শেষমুহূর্তের গোল। ম্যাচের ৯৪ মিনিটে, ঋতু দেবীর (Ritu Devi) জয়সূচক গোলে ম্যাচ বের করে নিয়ে যায় ওড়িশার মহিলা ব্রিগেড। শেষপর্যন্ত ২-১ ব্যবধানে ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে, মহিলা জাতীয় ফুটবল লিগের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে জয় পেল ওড়িশা।
আরও পড়ুন: East Bengal: ‘সমস্যা হচ্ছে স্পনসরদের নিয়ে,’ ইস্টবেঙ্গলের দল গঠন নিয়ে ইমামিকে হুঁশিয়ারি অরূপের
আগামী শুক্রবার, আহমেদাবাদের ট্রান্সস্ট্যাডিয়া স্টেডিয়ামে (TrnasStadia Stadium, Ahmedabad) হপস এফসির (Hops FC) বিরুদ্ধে নামছে ইস্টবেঙ্গল।