আবারও বিনিয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে সংঘাতের পথে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)? লাল-হলুদের অন্দরমহলে কান পাতলে তেমনটাই শোনা যাচ্ছে। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের পক্ষ থেকে পরের মরশুমের দল গঠন নিয়ে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল বিনিয়োগকারী সংস্থার কাছে। সেই প্রস্তাবে একাধিক ফুটবলারের তালিকা পাঠানো হয়েছিল তাদের কাছে। সেই তালিকার প্রাপ্তি প্রেস বিবৃতি দিয়ে স্বীকার করেছে ইমামি (Emami Group)। তবে বোর্ড মিটিং-এর তারিখ নিয়ে প্রেস বিবৃতিতে যা বলা হয়েছে তা সঠিক নয় বলে জানিয়ে দেওয়া হল ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের (East Bengal Club) পক্ষ থেকে।
কী নিয়ে শুরু হল বিতর্ক?
ইমামির দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'বোর্ড মিটিং-এর জন্য সময় দিতে পারছে না ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। আর সেই জন্যই দেরি হচ্ছে এই বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করতে। তবে আশা করা যায়, মার্চ মাসের শেষের দিকে ক্লাব কর্তারা সময় দিতে পারবেন। এবং মিটিং-এ বসতে পারবেন।' যদিও ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের দাবি একেবারে ভিন্ন। তাদের দাবি, ডিসেম্বর মাসে দলের খারাপ পারফরম্যান্স দেখে বোর্ড মিটিং ডাকার জন্য চিঠি দেওয়া হলেও সভা ডাকা হয়নি। ইস্টবেঙ্গল শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকার বলেন, 'আমরা গত ডিসেম্বর মাসে চিঠি দিয়েছিলাম বসার জন্য। তবে এখনও সেই চিঠির উত্তর আমরা পাইনি। আমরা জানিয়েছিলাম দ্রুত বোর্ড মিটিং ডাকা দরকার দলের পারফরম্যান্স খারাপ। দ্রত দুট-তিনটে জায়গায় যদি পরিবর্তন আনা যায় তা হলে হয়ত আমরা একটু ভাল জায়গায় যেতে পারি। সেই চিঠির উত্তর এখনও পাইনি।'
আরও পড়ুন: স্টিফেন-ছাঁটাইয়ের সম্ভাবনা, সুপার কাপে ইস্টবেঙ্গল কোচ কে?
দেবব্রত সরকার আরও বলেন, 'কয়েকদিন আগে আমরা বসেছিলাম। সেই সময় আমাদের বলা হয়েছিল, ফেব্রুয়ারি মাসে মিটিং করার জন্য। আমরা বললাম, ফেব্রুয়ারি মাসের ১৮ তারিখ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলব বলে ঠিক করেছি। ১৯ তারিখের পর যে কোনও দিন মিটিং করা যেতে পারে। তারপরেও যদি ওনারা বলে থাকেন আমাদের কাছ থেকে মিটিং-এর তারিখ পাননি তবে তা দুর্ভাগ্যজনক।'' ১৭ দিন কেটে গিয়েছে। এতদিন পরও বোর্ড মিটিং-এর দিন ঠিক করতে না পেরে পরোক্ষে ক্লাবের ওপর দায় চাপাচ্ছেন ইমামি কর্তারা। এমনটাই দাবি ক্লাব কর্তাদের।
আরও পড়ুন: BFC-র বিরুদ্ধে প্লে অফের ম্যাচ আবার হোক, দাবি কেরলের
মরশুম এখনও শেষ হয়নি। আইএসএল-এ দলের পারফরম্যান্স খারাপ হলেও, মরশুম এখনও শেষ হয়নি। সুপার কাপের আগে ক্লাব ও বিনিয়োগকারী সংস্থার এই তরজায় আরও খারাপ হতে পারে ফুটবলারদের পারফরম্যান্স। এমনটাই মনে করছেন সমর্থকরা।