দুরন্ত ছন্দে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। ডার্বিতে মোহনবাগানকে (Mohun Bagan) ৩-১ গোলে হারিয়েই কলিঙ্গ সুপার কাপের (Kalinga Super Cup 2024) সেমিফাইনালে উঠে গেল কার্লেস কুয়াদ্রাতের (Carles Cuadrat) দল। লাল-হলুদের প্রাক্তন কোচ খালিদ জামিলের জামসেদপুর এফসি-র বিরুদ্ধে খেলতে নামবে লাল-হলুদ।
শুক্রবার ৩-১ গোলে জয়ের হিরো যদি কেউ হন তা হলে তা হবেন ইস্টবেঙ্গল ক্যাপ্টেন ক্লেইটন সিলভা। দল পিছিয়ে পড়তেই দুরন্ত শটে গোল করে দলকে ম্যাচের মধ্যে রাখেন ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার। পরে আরও একটা গোল করে দলকে জেতান তিনি। মাঝে আরও একটা গোল করে জয় প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছিলেন নন্দাকুমার। ডার্বি এলেই যেন জ্বলে ওঠেন তিনি। ডুরান্ড কাপের পর সুপার কাপের গ্রুপের শেষ ম্যাচেও গোল করে গেলেন তিনি। ঠিক সময় ঠিক জায়গায় মাথা ঠান্ডা রেখে গোলটা করে মোহনবাগানকে আরও চাপে ফেলে দিলেন নন্দা।
জিতলেও ইস্টবেঙ্গলের গোল খাওয়ার সমস্যা থেকেই গেল এই ম্যাচে। শুরুতেই গোল খেয়ে গিয়েছিল তারা। মুহুর্মুহু কর্নার পেতে থাকা মোহনবাগানের হেক্টর উস্তে গোল করে যান। ডান দিক থেকে আসা কর্নারে হালকা পা ছুঁয়ে তিনি যখন গোল করেন, ইস্টবেঙ্গলের ডিফেন্ডাররা বুঝতেই পারেননি। এরপর পেনাল্টিও দিয়ে ফেলে লাল-হলুদ। গোটা ম্যাচে হিজাজি মেহের ভাল খেললেও কিয়ান নাসিরির কাটব্যাক করে আসা হয়ত বুঝতে পারেননি তিনি। হাতে লাগিয়ে আক্রমণ থামানোর চেষ্টা করেন। সেখান থেকে গোল হয়ে গেলে ম্যাচের ফল অন্যরকম হতে পারত। কারণ সেই সময় ১-১ ছিল স্কোরবোর্ড। এই সমস্যা গুলোর সমাধান খুঁজতে হবে কার্লেস কুয়াদ্রাতকে।
দারুণ ছন্দে রয়েছে জামসেদপুর। খালিদ জামিল দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই দলটা দারুণ ফুটবল খেলছে। আইএসএলে জামশেদপুর এফসি ১২ ম্যাচে মাত্র ২টি জিতেছে। কিন্তু সুপার কাপে প্রথম দল হিসেবে পৌঁছেছে সেমিফাইনালে। দলে ভাল মানের বিদেশি রয়েছে। ভারতীয় ফুটবলারদের মধ্যে সিনিয়র এবং জুনিয়রদের খুব ভাল মিশেল। বড় কথা দলটার কিছু করে দেখানোর জেদ রয়েছে। আইএসএলে হয়তো খুব বেশি ম্যাচ জেতেনি। কিন্তু এমন নয় দলটা খারাপ। ইস্টবেঙ্গলে খেলে যাওয়া চিমা চুকুও রয়েছেন এই দলে। দুই ম্যাচে ৩ গোল করে ফেলেছেন তিনি। তাই ফাইনালে উঠতে হলে তাঁর দিকেও খেয়াল রাখতে হবে ইস্টবেঙ্গলকে।